তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুলের উদ্দেশে বলেছেন , গলা উঁচু হলেও, মিথ্যা কথা বললেও, যেটা বিশ্বাস করে না সেটা মুখে বললেও এবং নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কথা বললেও আর যাই হোক মির্জা ফখরুল ভদ্রলোক।
আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ও সাংস্কৃতিক কর্মীদের অনুরোধ জানাই, আগামী ১০০ দিন দেশটাকে পাহারা দিতে হবে। কারণ দেশটা বিশ্ব বেনিয়াদের হাতে তুলে দিতে চাচ্ছে ওরা (বিএনপি)।
মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠপুত্র শহীদ শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুলের উদ্দেশে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, অত উঁচু গলায় কথা বলবেন না। আপনি এমপি হওয়ার পরও আপনার দল আপনাকে শপথ নিতে দেয়নি। আপনার দল নির্বাচিত এমপিদের অনিচ্ছা সত্ত্বেও তাদের পদত্যাগ করিয়েছে, কোনও লাভ হয়নি। সুতরাং আপনার দলের মূল নেতারা খালেদা জিয়া এবং তারেক জিয়া চায় না আপনারা নির্বাচনে এসে ভালো ফল করুন কিংবা এমপি হোন।
তিনি বলেন, সুতরাং ফখরুল সাহেবদের অনুরোধ জানাবো খালেদা জিয়া এবং তারেক জিয়ার লাঠিয়াল বাহিনীর সরদার হয়ে কাজ করবেন না। রাজনীতিবিদ হিসেবে কাজ করুন এবং দেশের স্বার্থে কাজ করুন। তাহলে দেশ উপকৃত হবে।
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ক্ষমতা পাহারা দিতে হবে না, ক্ষমতার পাহারাদার জনগণ। কিন্তু দেশটাকে পাহারা দিতে হবে। তারা (বিএনপি) ভেবেছে ঢাকা শহরে কয়েকটা সমাবেশ করে মানববন্ধন করে, সারা দেশ থেকে তাদের অগ্নিসন্ত্রাসীদের জড়ো করে সরকার হটিয়ে দেবে।
তিনি বলেন, এটা আওয়ামী লীগ সরকার, শেখ হাসিনার সরকার। একে কয়েকটা মানববন্ধন, নয়া পল্টনে ২০-৩০ হাজার মানুষ জড়ো করে কিংবা অন্য জায়গায় কয়েক হাজার মানুষ জড়ো করে, কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করে, আগুন ধরিয়ে এই সরকার হটানো সম্ভব না। ২০১৩-১৪ সালে অনেক চেষ্টা করেছিলেন। বহু গাড়ি, মানুষ পুড়িয়েছিলেন; শেখ হাসিনাকে হটাতে পারেননি।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, দেশকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করে বিএনপি-জামায়াত এই দেশকে বিশ্ব বেনিয়াদের হাতে তুলে দিতে চায়। তারা যে ক্ষমতায় যেতে চায় তা কিন্তু নয়, তাদের লক্ষ্য ক্ষমতায় যাওয়া নয়। তারা জানে নির্বাচন হলে তাদের পক্ষে ক্ষমতায় যাওয়া সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, তারা যে পানি ঘোলা করার চেষ্টা করছে, সেখানে তারা মাছ শিকার করতে পারবে না, শিকার করবে অন্যরা। সেটিও তারা জানে। তাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে বিদায় করা এবং বিশ্ব বেনিয়াদের হাতে দেশটাকে তুলে দেওয়া, দেশের সম্পদটাও তুলে দেওয়া।
ফিলিস্তিনে ইসরাইলের আগ্রাসনের আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ না জানানোয় বিএনপির সমালোচনা করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমি অবাক হয়ে লক্ষ্য করলাম, বিএনপি-জামায়াত যখনই নির্বাচনে আসে, তারা ধর্মাশ্রয়ী রাজনীতি করে। জামায়াত তো ধর্মাশ্রয়ী রাজনীতি করে। কিন্তু সেই বিএনপি-জামায়াতের মুখে এখন একটি কথা নাই।
তিনি বলেন, আজকে যে ফিলিস্তিনে পাখির মতো মানুষ শিকার করা হচ্ছে। মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে, সে নিয়ে একটি কথাও নাই। আর তারেক জিয়া নির্দেশ দেয়, এটি নিয়ে কথা বলার প্রয়োজন নেই। অর্থাৎ বিশ্ব মোড়লরা অখুশি হতে পারে, এজন্য তারা এ বিষয়ে কোনো কথা বলেন না। যারা বিশ্ব মোড়লরা অখুশি হবে বলে একটি শব্দ উচ্চারণ করে না, তারা সুযোগ পেলে দেশটাকে বিক্রি করে দেবে।