আর্থিক দুর্নীতির মামলায় মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজ্জাকের শাস্তি কমিয়ে অর্ধেক করেছে দেশটির শাস্তি মওকুফ বোর্ড। ২০২২ সালে মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সম্পদ তহবিল ‘১ মালয়েশিয়া ডেভেলপমেন্ট বারহেড’ (1MDB) এর অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে নাজিবকে ১২ বছরের জন্য জেলে পাঠানো হয়েছিল। কারাদণ্ডের পাশাপাশি বোর্ড তার উপর আরোপিত জরিমানা ২১ কোটি মালয়েশিয়ান রিংগিত থেকে কমিয়ে ৫ কোটি রিংগিত করেছে যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১১৫ কোটি ৭২ লাখ টাকা।
শাস্তি অর্ধেক হওয়ায় ২০২৮ সালের আগস্টে তার মুক্তি নিশ্চিত করতে নাজিবকে অবশ্যই এই জরিমানা সম্পূর্ণ পরিশোধ করতে হবে। জরিমানা আদায়ে ব্যর্থ হলে তার সাজা আরও এক বছরের জন্য বাড়ানো হবে।
২০১৮ সালে দুর্নীতির অভিযোগের দুই বছর পর ২০২০ সালে তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। এশিয়ার তৎকালীন রাজনীতিতে এমন একজন প্রবীণ ব্যক্তিত্বের জেলে যাওয়া দক্ষিণ পূর্ব এশিয়াজুড়ে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি করেছিল।
তাসমানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এশিয়ান স্টাডিজের অধ্যাপক জেমস চিন বলেন, কেউ যদি তার ক্যারিয়ারে বড় কোনো পর্যায়ে পৌঁছায়- তাহলে আইন তার কিছুই করতে পারে না। এই সাজা কমানো বার্তা দেয় যে, এই অঞ্চলের নেতারা দায়মুক্তির সাথে কাজ করে। সাজা কমানো জনরোষ দমন করার একটি আপাত প্রচেষ্টা।’
মালয়েশিয়ার সাবেক শাসনকারী ক্ষমতাসীন জোটের নেতৃত্ব দেওয়া সংগঠন ইউনাইটেড মালয়েস ন্যাশনাল অর্গানাইজেশন (ইউএমএনও) আপিলের অন্যান্য আইনী উপায় বিবেচনা করে দীর্ঘদিন ধরে রাজকীয় ক্ষমার জন্য চাপ দিয়ে আসছিল।
দুই সপ্তাহ আগে নাজিবকে সর্বশেষ আইনি চ্যালেঞ্জ শোনাতে কারারক্ষীরা কারাগার থেকে কুয়ালালামপুরের একটি আদালতে হাজির করে। স্ত্রী রোসমাহ মানসোরসহ তিনি এখনো কয়েকটি অভিযোগে অভিযুক্ত। অভিযোগ সত্ত্বেও প্রাক্তন এই প্রধানমন্ত্রী বেশ জনপ্রিয়। এখনও ইউএমএনওতেও প্রভাবশালী হিসেবে বিবেচিত।