পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ বলেছেন, আরাভ ওরফে রবিউল ওরফে হৃদয় নামে কাউকে তিনি চেনেন না। এমনকি তাঁর সঙ্গে প্রাথমিক পরিচয়ও নেই।
ঢাকায় পুলিশ হত্যার আসামি হয়েও দুবাইয়ে বড় সোনার ব্যবসায়ী বনে যাওয়া রবিউল ইসলামকে নিয়ে আলোচনার মধ্যে আজ শনিবার এক ফেসবুক পোস্টে একথা বলেছেন বেনজীর আহমেদ।
তিনি লিখেছেন, ‘সম্মানিত দেশবাসি, আমি আপনাদের সবাইকে আশ্বস্ত ও সম্পূর্ণভাবে নিশ্চিত করতে চাই যে “আরাভ ওরফে রবিউল ওরফে হৃদয় “ নামে আমি কাউকে চিনি না। আমার সাথে তার এমনকি প্রাথমিক পরিচয়ও নাই।’
বেনজীর আহমেদ বলেছেন, ‘আমি আমার ল’ এনফোর্সমেন্ট ক্যারিয়ারের পুরোটা সময় খুনি, সন্ত্রাসী, ড্রাগ ব্যাবসায়ী, চোরাকারবারি, ভেজালকারি ও অপরাধীদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি কখনোই সখ্যতা নয়।’
পুলিশের তথ্যমতে, আরাভ জুয়েলার্স নামের ওই প্রতিষ্ঠানের মালিক আরাভ খানের আসল নাম রবিউল ইসলাম। বাংলাদেশের গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় তাঁর বাড়ি। তিনি সোহাগ মোল্লা, হৃদয় শেখ, আপন-এ রকম কয়েকটি নামে পরিচিত। ২০১৮ সালের ৭ জুলাই ঢাকায় পুলিশের পরিদর্শক মামুন এমরান খান খুন হন। সেই খুনের আসামি হয়ে দেশ ছেড়েছিলেন রবিউল।
ডিবি বলছে, দেশ থেকে পালিয়ে রবিউল ইসলাম প্রথমে ভারতে যান। সেখানে আরাভ খান নামে পাসপোর্ট সংগ্রহ করে দুবাই চলে যান। এখন তিনি দুবাইয়ের বড় সোনা ব্যবসায়ী।
বুধবার রাতে দুবাইয়ের নিউ গোল্ড সুকে জমকালো অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আরাভ জুয়েলার্সের উদ্বোধন হয়। সেখানে বাংলাদেশের ক্রীড়া ও বিনোদনজগতের বেশ কয়েকজন তারকা উপস্থিত হয়েছিলেন। আরাভ জুয়েলার্সের উদ্বোধন উপলক্ষে ৬০ কেজি সোনা দিয়ে বানানো হয় বাজপাখির আদলে লোগো, যা তৈরিতে খরচ হয় প্রায় ৪৫ কোটি টাকা।