রাজধানীর খুচরা ও পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম আরও বেড়েছে। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম খুচরায় ১২ থেকে ১৫ টাকা এবং পাইকারিতে ৮ থেকে ১০টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। রাজধানীর বিভিন্ন বাজার এবং পাড়া-মহল্লার দোকানে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ খুচরা বিক্রেতারা ৮০ টাকায় বিক্রি করছেন। এক সপ্তাহ আগেও এই দাম ছিল ৬৫ থেকে ৬৮ টাকা। পাইকারিতে এক পাল্লা (পাঁচ কেজি) ২৭০ থেকে ২৮০ টাকায় বিক্রি হওয়া পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৩৬০ থেকে ৩৭০ টাকায়।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, মার্চ থেকে ভারত ও মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ আছে, ফলে দাম বেড়েছে। উৎপাদন মৌসুমে কৃষকের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ করে দেয়া হয়। এরপর গত মাস পর্যন্ত দাম নিয়ন্ত্রণে থাকলেও এ মাসে লাফিয়ে বেড়েছে পেঁয়াজের দাম।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর ২ লাখ ৪১ হাজার ৯০০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের আবাদ করার পর উৎপাদন হয়েছে ৩৪ লাখ টন। প্রতিকূল আবহাওয়াসহ নানা কারণে প্রায় ৩৫ শতাংশের মতো পেঁয়াজ নষ্ট হলেও বর্তমানে মজুদ আছে প্রায় ১৮ লাখ টন। সে হিসেবে পেঁয়াজের সংকট হওয়ার কথা নয়, তবুও এক মাসের ব্যবধানে বাজারে পেঁয়াজের দাম দ্বিগুণ হয়ে কেজিতে ৮০ টাকায় ঠেকেছে।
ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য মতে, গতকাল বৃহস্পতিবারও খুচরা বাজারে ৮০ টাকা কেজিতে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে। আজও একই দাম চলছে বাজারে।
টিসিবির বাজার পর্যালোচনার তথ্য মতে, এক মাসে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ১২১.৪৩ শতাংশ।
গত বছর এই সময় বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল ৩৮ থেকে ৫০ টাকায় অর্থাৎ এক বছরে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ৭৬.১৪ শতাংশ।
পেঁয়াজ, আদা, রসুন আর আলুর ব্যবসায়ি বেলাল হোসেন বলেন, হঠাৎ বাজারে পেঁয়াজের বাড়তি দাম। পাইকারি বাজারে আমাদের কেনাই বেশি পড়ছে। যে কারণে খুচরা বাজারে এর প্রভাবে পড়েছে। মাল কিনতে গেলে বড় ব্যবসায়ীরা বলে পেঁয়াজের আমদানি বন্ধ, তাই দাম বাড়তি। আমদানি শুরু হলে আবার পেঁয়াজের দাম কমবে। ততদিন পর্যন্ত বাড়তি দামেই বিক্রি করতে হবে। তিনি আরও বলেন, পাবনা থেকে অনেক সময় সরাসরি পেঁয়াজ এনে রাজধানীর বাজারে বিক্রি করি। এখন সেখানে বাজার চলে ২৭০০ টাকা মন। নিয়ে আসার খরচ, বাড়তি দাম সব মিলিয়ে এটা এখন ঢাকার বাজারে প্রতি কেজি ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।