আমেরিকার সবচেয়ে ধনী ১০০ নারীর তালিকা প্রকাশ করেছে বিখ্যাত বিজনেস সাময়িকী ‘ফোর্বস’। যেসব নারী নিজের যোগ্যতায় অঢেল সম্পদ গড়েছেন, তারাই জায়গা পেয়েছেন এই তালিকায়। এর মধ্যে রয়েছেন ১৫ জন তারকা। যারা শোবিজ জগতে কাজ করেই ধনীদের এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হলেন।
ধনী নারী তারকাদের মধ্যে এগিয়ে আছেন অপরাহ উইনফ্রে। মার্কিন এই টেলিভিশন ব্যক্তিত্বের সম্পদের পরিমাণ ২ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার। সম্প্রতি তিনি ৯০০ একরের একটি জায়গা কিনেছেন বলে জানা গেছে।
দ্বিতীয় স্থানে আছেন রিয়ানা। বারবাডিয়ান-মার্কিন এই সংগীতশিল্পী ও ব্যবসায়ীর সম্পদের পরিমাণ ১ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার। এই সম্পদের বেশিরভাগ এসেছে তার মেকআপ ব্র্যান্ড ‘ফেন্টি বিউটি’ থেকে।
কিম কার্দাশিয়ানের অবস্থান তৃতীয়। ১ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার নিয়ে নিজের দাপট বজায় রেখেছেন এই টিভি ও বিজনেস মোগল। গেলো গ্রীষ্মে তিনি নিজের বিউটি ব্র্যান্ড চালু করেছেন। এছাড়া তার একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানও রয়েছে।
টেইলর সুইফট রয়েছেন চতুর্থ স্থানে। তার সম্পদের পরিমাণ ৭৪০ মিলিয়ন ডলার। গত এক বছরে তার সম্পদ বেড়েছে ১৭০ মিলিয়ন ডলার। যা অন্য সবার মধ্যে সর্বোচ্চ। সুইফটের সম্পদ বৃদ্ধির মূল কারণ তার ওয়ার্ল্ড ট্যুর। এই ট্যুরের প্রতিটি কনসার্টেই বিপুল সাড়া পেয়েছেন গায়িকা। এছাড়া তার সাম্প্রতিক অ্যালবাম ‘মিডনাইট’ও সুপারহিট হয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়া কুইন কাইলি জেনারের অবস্থান পঞ্চম। তার ৬৮০ মিলিয়ন ডলার সম্পদের বেশিরভাগই এসেছে কসমেটিক ব্র্যান্ড ‘কাইলি কসমেটিক’ থেকে। শুরুতে এটা তার একার ছিল। তবে ২০২০ সালে তিনি ফরাসি বিউটি জায়ান্ট ‘কটি’র কাছে ৫১ শতাংশ শেয়ার বিক্রি করেন ৬০০ মিলিয়ন ডলারে।
সম্পদের নিরিখে আরও যারা তালিকায় জায়গা পেয়েছেন, তারা হলেন- ম্যাডোনা (৫৮০ মিলিয়ন), বিয়ন্সে (৫৪০ মিলিয়ন), সেলিন ডিয়ন (৪৮০ মিলিয়ন), জুডি শেন্ডলিন (৪৮০ মিলিয়ন), ডলি পার্টন (৪৪০ মিলিয়ন), রিজ উইদারস্পুন (৪৪০ মিলিয়ন), বারব্রা স্ট্রেইসান্ড (৪৩০ মিলিয়ন), ইলেন ডেজেনারস (৩৮০ মিলিয়ন), সেরেনা উইলিয়ামস (২৯০ মিলিয়ন) ও শোন্ডা রাইমস (২৫০ মিলিয়ন)।