The news is by your side.

আমি দেখতে চাই, কার শক্তি বেশি, মানুষের নাকি বুলডোজারের?’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

0 117

নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের জমি বিতর্ক

নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের জমি বিতর্কে এবার বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে কড়া ভাষায় হুঁশিয়ারি দিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

মমতা বলেছেন, ‘ওরা যদি অমর্ত্য সেনের বাড়ি ভাঙতে আসে, আমি গিয়ে সেখানে বুলডোজারের সামনে বসে থাকব। দেখব ওরা কীভাবে অমর্ত্য সেনের বাড়ি ভাঙতে পারে। আমি দেখতে চাই, কার শক্তি বেশি, মানুষের নাকি বুলডোজারের?’

পশ্চিমবঙ্গের সচিবালয় নবান্নে সংবাদ সম্মেলন করে মমতা বলেন, ‘আমি ওদের ঔদ্ধত্য দেখছি। ওরা নাকি অমর্ত্য সেনের বাড়ি বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেবে।’

বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পক্ষে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদকে একটি উচ্ছেদের নোটিস পাঠানো হয়েছে। সেই নোটিসে বলা হয়েছে, ১৫ দিনের মধ্যে অর্থাৎ, আগামী ৬ মের মধ্যে অমর্ত্য সেনকে শান্তিনিকেতনের বাড়ির দখলকৃত ৮ কাঠা জমি ছাড়তে হবে। নাহলে কর্তৃপক্ষের পক্ষে বলপ্রয়োগ করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। সেই নোটিসের প্রসঙ্গ টেনেই এবার বিশ্বভারতীকে পাল্টা হুঁশিয়ারি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

বীরভূম সফরে গিয়ে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের বাড়ি ‘প্রতীচী’তে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা। অমর্ত্য সেনের পাশে দাঁড়িয়ে তার হাতে জমির নথিপত্র তুলে দেন তিনি। যদিও এর পরে বিশ্বভারতীর সঙ্গে অমর্ত্য সেনের সংঘাত আরও চরমে ওঠে।

বিশ্বভারতীর সঙ্গে অমর্ত্য সেনের জমি সংক্রান্ত বিবাদের মধ্যেই প্রায় ১২০ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি জমি বিতর্কের জেরে তৈরি হওয়া পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে এবং বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ বিশেষত উপাচার্যের ভূমিকার নিন্দা করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে খোলা চিঠি পাঠিয়েছিলেন। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য হিসেবে মোদিকে চিঠি পাঠান তারা।

Leave A Reply

Your email address will not be published.