কৃতি শ্যানন। বলিউড অভিনেত্রী। গতকাল মুক্তি পেয়েছে তাঁর অভিনীত নতুন সিনেমা ‘আদিপুরুষ’। সিনেমাটি মুক্তির আগে কৃতিকে পাওয়া একটু কঠিনই মনে হচ্ছিল। অনেক চেষ্টার পর তাঁকে পাওয়া গেল ফোনে।
মুক্তির আগেই হিট ‘আদিপুরুষ’ কেমন লাগছে আপনার?
এ রকম পরিস্থিতি যে কোনো অভিনেতাকেই স্বস্তি দেবে। আমি শুধু ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করছি, প্রচুর মানুষ যেন ছবিটি দেখেন আর খুব বেশি করে পছন্দ করেন। এটা ঠিক, এত বড় ক্যানভাস আর পৌরাণিক সময়ের ছবি আগে করিনি। সেদিক থেকে নিজেকে খুব ভাগ্যবান মনে করি। পরিচালক ওম স্যার [ওম রাউত] আমাকে এ রকম এক মাইলফলক চরিত্রে কাস্ট করেছেন।
ছবির শুটিংয়ের সময়ের কথা মনে আছে?
এই ছবির প্রতিটি দৃশ্যের চিত্রায়ণের কথা মনে আছে। এই মুহূর্তে মনে পড়ছে শেষ দিনের শুটিংয়ের কথা। সেদিন খুব ইমোশনাল হয়ে পড়েছিলাম। এত বড় একটা লাইফটাইম এক্সপেরিয়েন্সের পরিবেশ ছেড়ে যেতে মন চাইছিল না। বলতে পারেন, এটা ছিল আমার কাছে এক স্বপ্নময় অভিজ্ঞতা।
কী মনে হয়; আদিপুরুষের সীতার মতো চরিত্র আপনি আপনার অভিনয় ক্যারিয়ারে সঠিক সময়ে পেয়েছেন?
এমন চরিত্র একটু তাড়াতাড়িই পেয়েছি [হাসি]। এ জন্য ঈশ্বরকে ধন্যবাদ। আমার মনে হয়, একজন অভিনেত্রীর কাছে এ ধরনের চরিত্র বারবার আসে না। তাই আমি সীতা চরিত্রে অভিনয়ের সময় নিজেকে উজাড় করে দিয়েছি আমার সামর্থ্য অনুযায়ী।
বড় ক্যানভাসের পৌরাণিক এই ছবিতে সীতা চরিত্রে অভিনয়ের জন্য নিজেকে কতটা তৈরি করেছিলেন?
যেদিন এই চরিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব পাই, সেদিনই মনে মনে চলে গিয়েছিলাম রাম, লক্ষ্মণ, সীতা আর বনবাসের পরিবেশে। ছোটবেলায় মার কাছ থেকে শোনা রামায়ণের গল্প, বইয়ে পড়া রামায়ণের গল্প আর ছোটবেলার সেই কাল্পনিক মনে রাম, লক্ষ্মণ, সীতার মতো চরিত্রের চলাফেরা আমাকে ছোটবেলাতেই ফিরিয়ে নিয়ে গিয়েছিল। বড় হয়ে অভিনয়জীবনে পা রেখে ছোটবেলার কল্পনার চরিত্র হয়ে ওঠা সত্যিই স্বপ্নের মতো। সীতা চরিত্রে কাজের আগে অভিনেত্রী হিসেবে আমার অন্য ধরনের মানসিকতা ছিল। এখন মনে হয়, আমার অভিনয়জীবন সার্থক। এই তো সেদিন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়তে পড়তে মডেলিং শুরু করলাম। তারপর অভিনয়। কিন্তু মনের মধ্যে সবসময় একটা অনিশ্চয়তা কাজ করত। ভাবতাম, বাবা-মা আমার কাজের ওপর আস্থা রেখে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মতো ক্যারিয়ার বাদ দিয়ে অভিনয়জীবনে সমর্থন করলেন। আমি কি তাঁদের বিশ্বাসের মর্যাদা ঠিকঠাক ফিরিয়ে দিতে পারব? এখন মনে হচ্ছে, তা করতে পেরেছি।
অভিনয়জীবনের ৯ বছরের মাথাতেই প্রযোজক হলেন…
প্রযোজক হওয়ার জন্য যে খুব ভাবনাচিন্তা করেছি, এমনটা নয়। জীবনের নানা দিক পরীক্ষা করে দেখা আমার স্বভাব। অভিনয়জীবন প্রায় এক দশক হলো। তাই এই সিদ্ধান্ত যে খুব তাড়াতাড়ি নিয়েছি, তাও নয়। বলতে পারেন, ‘মিমি’ ছবিতে অভিনয়ের অভিজ্ঞতা প্রযোজক হওয়ায় অবচেতনে সমর্থন জুগিয়েছে।
আপনার প্রযোজিত ছবির শুটিং কবে থেকে?
এ বছরটা অন্যান্য ছবির কাজে ব্যস্ত রয়েছি। হয়তো বছরের শেষদিকে, না হয় আগামী বছরের শুরুতে। এখনই তা বলতে পারছি না।
আপনার আরেকটি সিনেমা ‘গণপত’ নিয়ে কিছু বলুন।
এই মুহূর্তে ‘গণপত’ নিয়ে তেমন কিছু বলার নেই। তবে হ্যাঁ, আমি আমার জীবনের প্রথম হিন্দি সিনেমা ‘হিরোপান্তি’র নায়ক টাইগার শ্রফের সঙ্গে আবার জুটি বাঁধছি– এটা খুব আনন্দের। এই ছবিতে কিংবদন্তি অভিনেতা অমিতাভ স্যারের সঙ্গে কাজ করতে পেরে আনন্দিত ও গর্বিত।