ক্যারিয়ারের লম্বা সময়ে একাধিক মানুষের সঙ্গে নাম জড়ালেও, কোনো সিরিয়াস সম্পর্কে দেখা যায়নি নোরা ফাতেহিকে। অভিনেত্রী ও নৃত্যশিল্পী হিসেবে সফল হলেও, সংসার করতে চান তিনি। ‘কানেক্ট এফএম কানাডা’র সঙ্গে একটি সাক্ষাৎকারের সময় নোরা জানালেন, তাঁর সঙ্গী পছন্দের সময় কোন জিনিসে গুরুত্ব দেন তিনি।
অভিনেত্রী বলেন, ‘আমি এমন একজন মানুষকে খুঁজছি যে ঈশ্বরকে ভয় করে এবং যার লালন-পালন খুব ভালো হয়েছে।
এর পরে অর্থ এবং আর্থিক স্থিতিশীলতা আসে। নোরা নিজের কথায় আরো যোগ করেন, ‘আমার এমন একজন দরকার যে ভেতর থেকে সত্যিই ভালো, কারণ বর্তমানে চারপাশে খারাপ লোকের সংখ্যাই বেশি, যারা সুবিধাবাদি এবং আপনাকে ব্যবহার করে। মিথ্যাবাদীও আছে। কিছু লোক বছরের পর বছর আপনার সঙ্গে থাকবে এবং কিন্তু আপনাকে চাইবে না।
তারা আপনার টাকা, আপনার জনপ্রিয়তা বা আপনার নেটওয়ার্ক চাইবে। চারপাশে সত্যিই অদ্ভুত মানুষ আছে। ভালো মনের কাউকে পেলে আমি খুশি হব।’
দেখতে কেমন জীবনসঙ্গী চান, এই প্রশ্নে নোরা বলেন, ‘এত কিছুর পরে আসলে সুন্দর চেহারা আসে।
আমি বলতে চাইছি, আমার ভালো জেনেটিক্স দরকার, কারণ আমি সুন্দর বাচ্চা পেতে চাই।’
বলিউড অভিনেতা অঙ্গদ বেদি এবং কোরিওগ্রাফার টেরেন্স লুইসের সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন নোরা। নোরা আরো বলেন, পাঁচ বছর আগে থেকে তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি ছিল উচ্চতা এবং চেহারার মতো শারীরিক বৈশিষ্ট্যের ওপর নজর দিয়ে নিজের জন্য জীবনসঙ্গী খোঁজা। গত কয়েক বছরের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতায় তাঁর ভাবনাচিন্তা বদলেছে। এখন তিনি তাঁর অগ্রাধিকারকে গুরুত্ব দেন।
গত বছর আর্থিক প্রতারণার মামলায় নাম জড়িয়েছিল নোরার। কনম্যান সুকেশ চন্দ্রশেখরের সঙ্গে তাঁর সংযোগ পেয়ে একাধিকবার অভিনেত্রীকে জেরা করে ইডি। সুকেশের দাবি, তাঁর থেকে দামি দামি উপহার নিতেন নোরা। যদিও অভিনেত্রী মানতে চাননি এই অভিযোগ। জানান, দামি উপহারের টোপ দিয়ে সুকেশই নাকি তাঁর সঙ্গে সম্পর্কে আসতে চেয়েছিলেন। শুধু তা-ই নয়, সুকেশের কেসে জড়িত আরেক বলিউড অভিনেত্রী জ্যাকলিনের নামে মানহানির মামলাও করেছেন নোরা। নোরার দাবি, তাঁর নাম খারাপ করার চেষ্টা হয়েছে।