কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচনে বাস প্রতীকের প্রার্থী তাহসীন বাহার কুমিল্লা সদরের সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারের মেয়ে। এক প্রশ্নের জবাবে তাহসীন বাহার বলেন, ‘যত দূর আমি জানি, আমাদের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের ছাত্রলীগের কর্মী গুলি খেয়েছে। অভিযোগ আমার দিকে কেন, সেটা আমি জানি না। আমি তাকে হাসপাতালে দেখতে যাব।’
কুসিকের মেয়র পদে উপনির্বাচনে ভোট চলার সময় একটি কেন্দ্রে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে দুই জন গুলিবিদ্ধসহ তিন জন আহত হন। এ ঘটনায় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ কেন্দ্রে বেলা সোয়া ১১টার দিকে ভোট দিতে এসে এই প্রার্থী আরও বলেন, অন্য সময়ের চেয়ে এবার বেশি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে।
সূচনা বলেন, ‘প্রথমত আপনারা যারা সংবাদমাধ্যমের আছেন, প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়া, এখন কিন্তু সময়টা খুব স্বচ্ছ, মানুষের হাতেও লাইভ ক্যামেরা থাকে, মানুষ লাইভেও চলে যেতে পারে যদি কোনো সমস্যা হয়। আমি বলব, এগুলো শুধু শুধু অপবাদ, অপপ্রচার।’
তিনি আরও বলেন, ‘এখানে আমরা স্বতন্ত্র বললেও একেকজন একেকটা দল থেকে প্রতিনিধিত্ব করছি। এখানে এমন একটি দল আছে, যে দলের দুজন প্রার্থী আছে, এ দলটা সবসময় এ সরকারের সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচনকে বিতর্কিত করতে কথা বলে যায়। আমার মনে হয়, সেক্ষেত্রে ব্যাপারটা সে রকম কিছুই হচ্ছে।’
কুমিল্লায় তাহসীন বাহারের সমর্থকদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ভোটকেন্দ্র থেকে অন্য প্রার্থীদের পোলিং এজেন্টদের বের করে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তাহসীন বাহার বলেন, আপনি সাংবাদিক, এটা আপনাকে দেখতে হবে। দিস ইজ নট মাই জব। আমি বলব, এসব অভিযোগ মিথ্যা। প্রার্থীরা কে কী বলছে, অন্যদের কথা তো আমি বলতে পারব না।