জরুরি বা গুরুত্বপূর্ণ কোনও উপলক্ষ ছাড়া প্রকাশ্যে আসেন না ঢালিউড তারকা শাকিব খান। এমনকি সিনেমা অঙ্গনের কোনও তারকার মৃত্যুতেও তার উপস্থিতি চোখে পড়ে না। এ নিয়ে অনেকের ক্ষোভ-অভিযোগও লক্ষ্য করা যায়।
তবে ব্যতিক্রম ঘটেছিল নায়করাজ রাজ্জাক ও গীতিকবি গাজী মাজহারুল আনোয়ারের ক্ষেত্রে। এই দুজনের শেষ শ্রদ্ধায় হাজির হয়েছিলেন শাকিব। তাদের সঙ্গে এবার যুক্ত হলো সদ্য প্রয়াত চিত্রনায়ক আকবর হোসেন পাঠান ফারুকের নামও। ইন্ডাস্ট্রির অভিভাবকতুল্য এই তারকার প্রয়াণে নীরবে বসে থাকতে পারলেন না শাকিব। শুটিং ফেলে ছুটে এলেন শেষ শ্রদ্ধা জানাতে।
মঙ্গলবার দুপুরে এফডিসিতে শ্রদ্ধা নিবেদন ও জানাজা শেষে ফারুকের মরদেহ নেওয়া হয় চ্যানেল আই প্রাঙ্গণে। সেখানেই হাজির হন শাকিব খান। মলিন মুখে এসে অংশ নেন জানাজায়। বিষণ্ণ মনে কিছু কথাও বলেন ফারুককে নিয়ে।
শাকিব বলেছেন, “ফারুক ভাই যতদিন সুস্থ ছিলেন, সবসময় ওনার স্নেহে আমাকে আগলে রেখেছিলেন। বলতেন, ‘আমার চলচ্চিত্রের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর।’ অসুস্থ হওয়ার আগ পর্যন্ত, আমার কোনও সিনেমার পোস্টার রিলিজ হলে, কোথাও কিছু দেখলে খুব উৎসাহ দিতেন। তিনি যতদিন সুস্থ ছিলেন, সিনেমার জন্য কাজ করে গেছেন। একটা কথা প্রায়ই বলেন, ‘এরা সবাই আমার প্রাণের মানুষ।’ অনেক বড় মনের মানুষ ছিলেন। শুধু একজন কিংবদন্তি অভিনেতাই নন, একজন সফল মানুষ ফারুক ভাই।”
আক্ষেপের সুরে শাকিব বলেন, ‘কিছু দিন পরপর যখন খবর নিতাম, তখন শুনতাম ভালো হয়ে গেছে, সুস্থ হয়ে গেছে। এই বুঝি চলে আসবে, দেখা হবে। ফারুক ভাইকে হারিয়ে শুধু আমি না, গোটা সিনেমা অঙ্গন একজন অভিভাবককে হারালো।’
সোমবার সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে স্থানীয় সময় সকাল ১০টার দিকে মারা যান ফারুক। মঙ্গলবার (১৬ মে) সকালে তার মরদেহ ঢাকায় এসে পৌঁছায়। এদিন বেলা সাড়ে ১১টা থেকে পৌনে ১টা পর্যন্ত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফারুকের মরদেহ রাখা হয়েছিল সর্বস্তরের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য। এরপর তার দীর্ঘ দিনের কর্মস্থল এফডিসিতে নেওয়া হয় তাকে। সেখানে সিনেমার মানুষেরা তাকে শেষ বিদায় জানায় চিত্রনায়ক আকবর হোসেন পাঠান ফারুককে ।
গুলশানের আজাদ মসজিদে বাদ আসর জানাজা শেষে ফারুকের মরদেহ নেওয়া হবে গাজীপুরের কালীগঞ্জে। সন্ধ্যা ৭টায় সেখানে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হবে।