বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় ২৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ।
আজ দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার ও কাউন্টার টেরোরিজম এন্ড ট্র্যান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) মনিরুল ইসলাম এসব কথা বলেন।
হত্যাকাণ্ডের এক মাসের কিছু বেশি সময় পর বুধবার (১৩ নভেম্বর) আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখায় চার্জশীট জমা দেন গোয়েন্দা পুলিশ। একইসঙ্গে মামলার আলামত হিসেবে একটি ল্যাপটপ, স্ট্যাম্প, আবরারের রক্তমাখা জামা কাপড়, সিসিটিভির ফুটেজসহ গুরুত্বপূর্ণ আলামত জমা দেয়া হয়েছে।
মনিরুল ইসলাম জানান, পারিপার্শ্বিক বিবেচনা এবং ঘটনাপ্রবাহ বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, হল অথরিটির এখানে ব্যর্থতা রয়েছে।
মনিরুল ইসলাম আরও বলেন, মামলার তদন্তে এখন পর্যন্ত ৩৫ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। ঘটনার দিন রাত ১০টা থেকে রাত ২টা পর্যন্ত আবরারকে পেটানো হয়।
অভিযোগপত্রভুক্ত ২৫ আসামির মধ্যে ২১ জনকে ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ২১ জনের মধ্যে ১৬ জনের নাম আবরারের বাবার করা হত্যা মামলার এজাহারে আছে। তাঁরা হলেন মেহেদী হাসান রাসেল, মো. অনিক সরকার, ইফতি মোশাররফ সকাল, মো. মেহেদী হাসান রবিন, মো. মেফতাহুল ইসলাম জিওন, মুনতাসির আলম জেমি, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভির, মো. মুজাহিদুর রহমান, মুহতাসিম ফুয়াদ, মো. মনিরুজ্জামান মনির, মো. আকাশ হোসেন, হোসেন মোহাম্মদ তোহা, মো. মাজেদুল ইসলাম, শামীম বিল্লাহ, মোয়াজ আবু হুরায়রা ও এ এস এম নাজমুস সাদাত। বাকি পাঁচজনের নাম তদন্তে বেরিয়ে এসেছে। তাঁরা হলেন ইসতিয়াক আহম্মেদ মুন্না, অমিত সাহা, মো. মিজানুর রহমান ওরফে মিজান, শামসুল আরেফিন রাফাত ও এস এম মাহমুদ সেতু।
২৫ জনের মধ্যে চারজন পলাতক। পলাতক জিসান, তানিন ও মোর্শেদের নাম মামলার এজাহারে আছে। এজাহারের বাইরে আরেক আসামি রাফি।
গত ৬ অক্টোবর দিবাগত রাতে বুয়েটে শেরেবাংলা হল থেকে তড়িৎ ও ইলেকট্রনিকস প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা তাঁকে পিটিয়ে হত্যা করেছে।