বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি জন্য ৩০ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েস এ দিন ধার্য করেন।
আজ আদালতে অভিযোগপত্র গ্রহণ ও আসামিদের উপস্থিতির জন্য দিন ধার্য ছিল। কারাগার থেকে ২২ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। আদালত অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য ৩০ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন।
আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপাস কুমার পাল এসব তথ্য জানান।
এর আগে গত ১৩ জানুয়ারি মামলাটি বিচারের জন্য প্রস্তুত হওয়ায় সিএমএম আদালত মামলার নথি বিচারিক আদালতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এরপর গত মঙ্গলবার নথি মহানগর দায়রা জজ আদালতে পাঠানো হয়।
গেল বছর ১৩ নভেম্বর মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মো. ওয়াহিদুজ্জামান আদালতে দাখিল করেছেন।
অভিযোগপত্রের ২৫ জনের মধ্যে এজাহারভুক্ত ১৯ জন এবং এর বাইরে তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে আরও ৬ জনের জড়িত থাকার প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া গেছে। এজাহারভুক্ত ১৯ জনের মধ্যে ১৭ জন এবং এজাহারের বাইরে থাকা ৬ জনের মধ্যে ৫ জনসহ মোট ২২ আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পলাতক রয়েছেন ৩ জন। অভিযোগপত্রে ৬০ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে এবং ২১টি আলামত ও ৮টি জব্দতালিকা আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে।
এজাহারে থাকা আসামিরা হলো, মেহেদী হাসান রাসেল, অনিক সরকার, ইফতি মোশাররফ সকাল, মেহেদী হাসান রবিন, মেফতাহুল ইসলাম জিওন, মুনতাসির আলম জেমি, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভির, মুজাহিদুর রহমান, মুহতাসিম ফুয়াদ, মনিরুজ্জামান মনির, আকাশ হোসেন, হোসেন মোহাম্মদ তোহা, মাজেদুল ইসলাম, শামীম বিল্লাহ, মোয়াজ আবু হুরায়রা, এএসএম নাজমুস সাদাত, মোর্শেদুজ্জামান জিসান ও এহতেশামুল রাব্বি তানিম।
এজাহারবহির্ভূত ৬ জন হলো, ইশতিয়াক আহম্মেদ মুন্না, অমিত সাহা, মিজানুর রহমান ওরফে মিজান, শামসুল আরেফিন রাফাত, এসএম মাহমুদ সেতু ও মোস্তবা রাফিদ।
পলাতক তিন আসামি হলো মোর্শেদুজ্জামান জিসান, এহতেশামুল রাব্বি তানিম ও মোস্তবা রাফিদ। এদের মধ্যে প্রথম দুই জন এজাহারভুক্ত আসামি।
আবরার বুয়েটের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের (১৭তম ব্যাচ) ছাত্র ছিলেন। গত ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরে বাংলা হলে আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের একদল নেতা-কর্মী।