বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্র নাঈমুল আবরার রাহাতের মৃত্যুর মামলায় প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক ও কিশোর আলোর সম্পাদক আনিসুল হক ও প্রথম আলোর হেড অব ইভেন্ট অ্যান্ড অ্যাকটিভেশন কবির বকুলসহ পাঁচজনকে পলাতক দেখিয়ে তাদের মালামাল জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার দুপুরে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম মো. জসিম উদ্দিন এ আদেশ দেন। ক্রোক সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ২০ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।
মালামাল ক্রোকের নির্দেশ দেয়া বাকিরা হলেন- প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ সহ-সম্পাদক মহিতুল আলম, নির্বাহী শাহপরান তুষার ও নির্বাহী শুভাশীষ প্রামাণিক।
আইনজীবী ওমর ফারুক বলেন, আদালত পাঁচজনের সম্পত্তি জব্দের আদেশ দিয়েছেন। আদেশ তামিলের প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য ২০ সেপ্টেম্বর দিন রাখা হয়েছে।
এর আগে, আবরারের মৃত্যুর ঘটনায় কিশোর আলো কর্তৃপক্ষের অবহেলার প্রমাণ পাওয়া গেছে মর্মে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে পুলিশ। মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আব্দুল আলিম এ প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদনটি আমলে নিয়ে গত ১৬ জানুয়ারি ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. কায়সারুল ইসলাম তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন। এরপর প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমানসহ অন্য পাঁচ আসামি জামিন নেন।
মামলার আসামিরা হলেন−মতিউর রহমান, আনিসুল হক, কবির বকুল, শুভাশিষ প্রামাণিক শুভ, মহিতুল আলম পাভেল, শাহ পরান তুষার, জসিম উদ্দিন অপু, মোশারফ হোসেন, সুজন ও কামরুল হায়দার।
গত ১ নভেম্বর বিকেলে ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের ক্যাম্পাসে কিশোর আলোর অনুষ্ঠান চলাকালে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যায় আবরার। গত ৬ নভেম্বর প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানসহ অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন আবরার বাবা মুজিবুর রহমান।