আফগানিস্তানে নারীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা নিষিদ্ধ করার প্রতিবাদে পুরুষ শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা বর্জন করেছেন। নারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে নাঙ্গারহার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা পরীক্ষা বর্জন করেছেন।
এদিকে নাঙ্গারহার ও কান্দাহারের ছাত্ররা মেয়েদের শিক্ষা নিষিদ্ধ করার তালেবানের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করেছেন। এ সময় তাদের হাতে প্ল্যাকার্ডও দেখা যায়।
গত মঙ্গলবার তালেবানরা বিশ্ববিদ্যালয়ে মেয়েদের উচ্চশিক্ষা নিষিদ্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে। বুধবার (২১ ডিসেম্বর) শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে গেলে নিরাপত্তা বাহিনী তাদের ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে দেয়নি।
ক্ষমতায় আসার পর নারীদের অধিকার ও স্বাধীনতা হরণ করার জন্য এটি তালেবানদের সর্বশেষ পদক্ষেপ। তালেবানের এমন সিদ্ধান্তে আন্তর্জাতিক নিন্দার ঝড় উঠেছে। এ সিদ্ধান্তে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্র।
পাকিস্তান ও কাতার নারীদের উচ্চশিক্ষা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে। তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলু বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) তালেবানদের এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছেন।
এক সংবাদ সম্মেলনে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘নারী শিক্ষা নিষিদ্ধ করা ইসলামিক বা মানবিক নয়। আমরা মনে করি না এই সিদ্ধান্ত সঠিক। ইনশাআল্লাহ, তালেবানরা এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করবে।’
গত বছর ক্ষমতা দখলের পর থেকে তালেবানরা ব্যাপকভাবে কঠোর ইসলামিক আইন প্রয়োগ করেছে। তারা মেয়েদের মাধ্যমিক শিক্ষাও নিষিদ্ধ করেছিল। বিধিনিষেধের কারণে আফগান নারীরা কাজ করতে পারছেন না।
এছাড়া নারীদের ঘরের বাইরে বোরকা পরতে বলা হয়েছে। তাদের পার্ক ও জিম থেকেও নিষিদ্ধ করা হয়। নারীদের কোনো পুরুষ আত্মীয় ছাড়া দীর্ঘ ভ্রমণে যাওয়া নিষিদ্ধ করা হয়েছে।