আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আত্মঘাতী বিস্ফোরণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩০ জনে দাড়িয়েছে। এ ঘটনায় আহতের সংখ্যা অনেক। নিহতদের সবাই শিক্ষার্থী ছিল।
শুক্রবার স্থানীয় সময় অনুযায়ী সকাল সাড়ে ৭টা দিকে এই বিস্ফোরণ ঘটে।
কাবুলের পশ্চিম দিকে ‘কাজ় এডুকেশন সেন্টার’ পরীক্ষা চলাকালে হঠাৎই কেঁপে ওঠে তীব্র শব্দে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশিকা পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতিমূলক ওই পরীক্ষায় বসেছিলেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই হামলার পরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েছে সারা বিশ্ব। অনেক দেশই সোশ্যাল মিডিয়ায় এই হামলার কড়া নিন্দা করেছে। তালিকায় রয়েছে ইরান, নরওয়ে, আমেরিকার মতো দেশ। আফগান সরকারের তরফেও এই হামলার কড়া সমালোচনা করা হয়েছে। তালিবান সরকারের মুখপাত্র জ়বিউল্লা মুজাহিদ টুইটারে এই হামলাকে ‘ভয়ানক’ বলে উল্লেখ করেছেন। ‘হাই কাউন্সিল ফর ন্যাশনাল রিকনসিলিয়েশন’-এর প্রাক্তন চেয়ারম্যান আবদুল্লা আবদুল্লা বলেছেন, ‘‘এই হামলার জন্য যারা দায়ী, তারা আসলে দেশে শান্তি আর উন্নয়নের বিরোধী।’’ আমেরিকান ‘চার্জ দ্য’ফেয়ার্স’ ক্যারেন ডেকার টুইটারে লিখেছেন, ‘‘আমেরিকা আজকের হামলার কড়া নিন্দা করছে। এ ভাবে ছাত্রছাত্রী ভর্তি একটি ঘরকে জঙ্গি হামলার নিশানা করা লজ্জাজনক ঘটনা। সব পড়ুয়ারই শান্তিতে পড়াশোনা করার অধিকার রয়েছে।’’
গত বছরের অগস্টে আফগানিস্তানে ক্ষমতায় আসে তালেবানরা। সে সময় তারা জানিয়েছিল, দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠাই তাদের লক্ষ্য। কিন্তু গত কয়েক মাসে তালেবান-শাসিত আফগানিস্তান থেকে একাধিক হামলার খবর এসেছে।
অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অভিযোগের তির ইসলামিক স্টেটের খোরাসন (আইএস-কে) শাখার দিকে। শাসক তালিবান মুখে বারবার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকার কথা বললেও শাসনের দ্বিতীয় দফায় গোটা দেশে কি তারা শান্তি রক্ষায় পুরোপুরি ব্যর্থ? ধীরে ধীরে কি তাদের কর্তৃত্বের রাশ আলগা হচ্ছে? এই প্রশ্ন আরও জোরালো হতে শুরু করেছে আজ কাবুলের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জঙ্গি হামলার পরে।
সাউথ এশিয়ান টেররিজ়ম পোর্টাল বা এসএটিপি-র পরিসংখ্যান বলছে, শুধুমাত্র চলতি বছরেই আফগানিস্তান জুড়ে ২০৭টি সন্ত্রাসবাদী হামলা হয়েছে। যাতে মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে দেড়শো জনের।