ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
অনুষ্ঠিত হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের বার্ষিক সম্মেলন। আজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার সামনে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। বার্ষিক সম্মেলনের মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কমিটিকে বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়।
ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় সম্মেলনের পর একসাথে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ, ঢাবি ছাত্রলীগ ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কমিটি দেওয়া হবে বলে সম্মেলনে জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
বিকেল সাড়ে ৩টায় জাতীয় সংগীত গাওয়ার মাধ্যমে সম্মেলন শুরু হয়। এ সময় জাতীয় পতাকা ও ছাত্রলীগের পতাকা উত্তোলন করা হয়। সম্মেলনের উদ্বোধন ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়।
সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমাদের কমিটি যেভাবে হয় সেভাবেই ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি হবে, সঙ্গে মহানগর উত্তর দক্ষিণ, সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় একসঙ্গে ঘোষণা করা হবে। এর মধ্যে আমরা সিভি নিচ্ছি, যোগ্যতা বিচার করছি। ’
মির্জা ফখরুল ইসলামকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘আমরা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ললিপপ খাব। আপনারা ঢাকা দখল করবেন। কত বড় সাহস। এখন ড. কামাল হোসেনও আছেন। যিনি বলেছেন, শেখ হাসিনা বাইরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। অর্থপাচার করেছেন। শেখ হাসিনা আল্লাহ ছাড়া কাউকে ভয় পান না। এ সময় তিনি ড. কামালকে চ্যালেঞ্জ করেছেন, শেখ হাসিনা কোথায় অর্থ পাচার করেছেন তার প্রমাণ দেখানোর জন্য। ’
সম্মেলনে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় বলেন, ‘ছাত্রলীগকে শিক্ষার্থীদের পাশে থেকে তাদের মনের কথা বুঝে কাজ করে যেতে হবে। শিক্ষার্থীরা যেন আমাদের ভালোবেসে ছাত্রলীগের রাজনীতি করে সেই জন্য আমাদের কাজ করে যেতে হবে। ’ এ সময় আগামীর বাংলাদেশের জন্য, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব এগিয়ে নেওয়ার জন্য যে নেতৃত্ব দরকার সে নেতৃত্ব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
সম্মেলনে প্রধান বক্তা ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য বলেন, চার বছর পরে ঢাবি ছাত্রলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই চার বছরে ঢাবি ছাত্রলীগের কর্মীরা তাদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ চর্চা করার সুযোগ পেয়েছে, শেখ হাসিনার নির্দেশনাগুলো মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়ন করার সুযোগ পেয়েছে। এ সময় তিনি করোনাকালীন ছাত্রলীগের কর্মীদের নিজ নিজ জায়গা থেকে সংগঠনের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করায় ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
সভাপতির বক্তব্যে সদ্য বিলুপ্ত ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস বলেন, ‘শেখ হাসিনা আমাদের হাতে যে আমানত তুলে দিয়েছিলেন তা আমরা পালন করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। যত দোষত্রুটি এবং ব্যর্থতা রয়েছে সেটি আমার ও আমার সাধারণ সম্পাদকের কাঁধে নিতে চাই। আর যত সফলতা, যত শিক্ষাবান্ধব কার্যক্রম সেগুলো আমরা শেখ হাসিনা এবং ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে দিতে চাই। ’