The news is by your side.

আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে সক্ষমতা বাড়াতে রপ্তানিতে নগদ সহায়তা কমেছে : বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

0 126

 

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু জানিয়েছেন, ২০২৬ সালে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উন্নীত হওয়ার পর আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে প্রতিযোগিতা সক্ষমতার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় রপ্তানিতে নগদ সহায়তা কমানো হয়েছে। এটা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যাখ্যা। রপ্তানিতে নগদ সহায়তা কমানোর পর ব্যবসায়ীদের উদ্বেগ নিয়ে কথা বলার সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমন ব্যাখ্যা দিয়েছেন বলে জানান তিনি।

মঙ্গলবার রাতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্রোকারদের সংগঠন ডিবিএ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী। রাজধানীর নিকুঞ্জে ডিএসই টাওয়ারে ২০২৩ সালের লেনদেনের ভিত্তিতে শীর্ষ ২০ ব্রোকারেজ হাউজকে পুরস্কার প্রদান এবং এশিয়ান ব্রোকার্স ফোরামে (এএসএফ) ডিবিএর সদস্যপদ পাওয়ার আনন্দ উদযাপনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

২০২৬ সালে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের কাতার থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উন্নীত হওয়ার স্বীকৃতি পেতে যাচ্ছে। এই উত্তরণে ভালো দিকের পাশাপাশি চ্যালেঞ্জও রয়েছে। এলডিসি থেকে উত্তরণে পর আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে বাংলাদেশ যে বিশেষ সুবিধা পায়, তা পাবে না বা কমে যাবে। বিশেষত আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে বিশেষ কোটা সুবিধা ও শুল্কমুক্ত রপ্তানি সুবিধা মিলবে না।

এ দিকটি বিবেচনায় রাখার অনুরোধ জানিয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাস্তবতা সামনে। আমাদের নিজেদের সক্ষমতা বাড়োতে হবে। সরকার চাইলেও এখন অনেক কিছু করতে পারবে না। প্রতিযোগিতা সক্ষমতায় টিকে থাকতে নিজেদের সামর্থ্য ও সক্ষমতা বাড়াতে ব্যবসায়ীদের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।

বহির্বিশ্বে বাংলাদেশকে ব্যবসার বাইরে আরও নানা ইস্যুতে অযাচিত চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয় বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

দায়িত্ব গ্রহণের পর বাংলাদেশে যুক্তরাজ্য মিশনের হাইকমিশনার ও ডেপুটি হাইকমিশনারের সঙ্গে বৈঠকের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, হাইকমিশনার মহোদয় আমার সঙ্গে দেখা করতে এসে বাংলাদেশের গণতন্ত্র, মানবাধিকার নিয়ে অনেক জ্ঞান দিলেন। এরপর ডেপুটি হাইকমিশনারের সঙ্গে দেখা করার সময় তার কাছে জানতে চাইলাম, পাকিস্তানের নির্বাচন কেমন হলো? আর কোনো কথা বললেন না।

আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, আমরা কিন্তু পাকিস্তান থেকেই বাংলাদেশ হয়েছি। বাংলাদেশের জন্য অন্যদের ‘স্ট্যান্ডার্ড’ (মান) যেন অন্য রকম। বাংলাদেশের জন্য মানবাধিকারের স্ট্যান্ডার্ড, নির্বাচনের স্ট্যান্ডার্ড ভিন্ন হয়। ৫২ বছর আগে স্বাধীন না হলে আমরা এখনও পাকিস্তানের একটা অঙ্গ রাজ্য থাকতাম। পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছিলেন, ‘আমরা নিজেদের জন্য তাদের সাব-স্ট্যান্ডার্ড ও প্রবলেম (নিম্নমানের ও সমস্যার) মনে করতাম। তারাই আজ অনেক এগিয়ে গেছে।’

শীর্ষ ২০ ব্রোকারেজ হাউজকে পুরস্কৃত করায় অন্যরাও পুরস্কার পেতে উৎসাহি হবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, ব্যবসায় প্রতিযোগিতা থাকতে হবে। বাংলাদেশের শেয়ারবাজার এখনও অনেক ছোট। দেশের অর্থনীতিতে প্রতিনিধিত্ব বা অবদান রাখার মতো অবস্থান এখনও তৈরি হয়নি। ব্যাংক থেকে টাকা না এলে এখনও শেয়ারবাজার চলে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, শুধু বাজার (সার্বিকভাবে শেয়ার দর) বাড়বে ও সূচক বাড়বে, এমন দায়িত্ব যারা নেন বা এমন দায়িত্ব নিয়ে চিন্তা করেন, তাদের বলি, এমনটা করলে এ বাজার এগিয়ে যেতে পারবে না।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সিইও কোন কোম্পানি তালিকাভুক্ত হবে, আর কোনটি হবে না, তা নিয়ে কেন কাজ করতে পারবেন না – এমন প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ (শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা) পোস্ট অফিসের মতো কাজ করবে। তালিকাভুক্তির যাচাই-বাছাই ডিএসই করবে। স্টক এক্সচেঞ্জের মালিকানা বিভাগ থেকে ব্যবস্থাপনা বিভাগ আলাদা (ডিমিউচুয়ালাইজেশন) হওয়ার উদ্দেশ্যই ছিল এটা। বিনিয়োগ পণ্য স্টক এক্সচেঞ্জের, সিদ্ধান্ত দেবে আরেকজন, এটা হয় না।

আহসানুল ইসলাম বলেন, শেয়ারবাজারের একটা দল আছে, যারা শেয়ারবাজারকে ছোট করে রাখতে চায়, যাতে অল্প যে শেয়ার আছে সেগুলোর দাম শুধু বাড়ে। নতুন কোম্পানি তালিকাভুক্ত হলে নতুন বিনিয়োগকারীও আসে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ডিবিএর সভাপতি সাইফুল ইসলাম, সাবেক সভাপতি রিচার্ড ডি রোজারিও এবং ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এটিএম তারিকুজ্জামান। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএসইসির কমিশনার শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ, কমিশনার আব্দুল হালিম, কমিশনার মিজানুর রহমান এবং ডিএসইর চেয়ারম্যান ড. হাফিজ মোহাম্মদ হাসান বাবু।

Leave A Reply

Your email address will not be published.