হামাস-ইজ়রায়েল সংঘর্ষ পরিস্থিতি নিয়ে এ বার অবস্থান বদলাল চিন। মঙ্গলবার প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং সরকারের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই কার্যত গাজ়ায় ইজ়রায়েল সেনার হামলাকে সমর্থন করে বলেছেন, ‘‘প্রত্যেক দেশেরই আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে।’’ তবে সেই সঙ্গেই তেল আভিভের প্রতি তাঁর বার্তা, ‘‘এমন পরিস্থিতিতে উচিত আন্তর্জাতিক মানবিক আইন মেনে চলা। অসামরিক নাগরিকদের যাতে ক্ষতি না হয়, সে দিকে গুরুত্ব দেওয়া।’’
শিনহুয়া জানাচ্ছে, ইজ়রায়েলের বিদেশমন্ত্রী এলি কোহেনের সঙ্গে সোমবার টেলিফোনে প্যালেস্তাইন পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে ওয়াংয়ের। চলতি মাসেই আমেরিকা সফরে যাওয়ার কথা ওয়াংয়ের। তার আগেই ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর প্রতি তাঁর এই বার্তা।
৭ অক্টোবর গাজ়া সীমান্ত থেকে প্যালেস্তেনীয় সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের হামলার পরে ভারত, আমেরিকা, ব্রিটেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন-সহ নানা দেশ এবং রাষ্ট্রগোষ্ঠী নিন্দা করলেও জিনপিং সরকার একটিও বিবৃতি দেয়নি। এমনকি, বেজিংয়ে প্রকাশ্য রাস্তায় এক ইজ়রায়েলি কূটনীতিকের উপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে প্রাণঘাতী হামলা হলেও প্রকাশ্যে দুঃখপ্রকাশ করেনি চিন সরকার বা ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টি!
গত সপ্তাহে প্রেসিডেন্ট জিনপিং কার্যত প্যালেস্তেনীয় যোদ্ধাবের সমর্থন করে মিশর এবং অন্যান্য আরব দেশর সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে অবিলম্বে সংঘর্ষ বিরতির আহ্বান জানিয়েছিলেন। বলেছিলেন, ‘‘যত দ্রুত সম্ভব প্যালেস্তাইন সমস্যার একটি ব্যাপক, ন্যায্য এবং স্থায়ী সমাধানের জন্য চাপ তৈরি করতে হবে।’’ এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার ইজ়রায়েলকে সমর্থন করে বেজিংয়ের বিবৃতি ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহল।