আটলান্টিক মহাসাগরের গভীরে ঐতিহাসিক টাইটানিক জাহাজের ধ্বংসাবশেষ দেখতে গিয়ে পাঁচ পর্যটকসহ হারিয়ে যাওয়া ডুবোযান সাব বা সাবমারসিবল ‘টাইটান’ এখনও উদ্ধার হয়নি।
ছোট সাবমেরিনটির সন্ধানে রাতদিন চেষ্টা চালাচ্ছে ফ্রান্স, কানাডাসহ যুক্তরাষ্ট্রের উদ্ধারকারী দল। ডুবোযানটিতে চারদিনের অক্সিজেন মজুত থাকলেও আর মাত্র ৩০ ঘণ্টা টিকে থাকতে পারবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
যুক্তরাষ্ট্রের কোস্টগার্ড জানিয়েছে, রবিবার ডুবে যাওয়ার প্রায় এক ঘণ্টা ৪৫ মিনিটের মাথায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এটির। হারিয়ে যাওয়া ডুবো যানটির নাম ‘টাইটান’।
তিনদিন পার হলেও অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করেও অবস্থান শনাক্ত করা যায়নি। সময় যতো গড়াচ্ছে পর্যটকদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা ততই কমছে। তারপরও হাল ছাড়তে রাজি না কেউই।
বিবিসি জানিয়েছে, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ওশেনগেটের ডুবোজাহাজটিতে চারদিনের অক্সিজেন মজুত থাকে। আর মাত্র ৩০ ঘণ্টার অক্সিজেন রয়েছে। টাইটান নিউফাউন্ডল্যান্ডের রাজধানী সেন্ট জনস থেকে প্রায় এক হাজার ৪৫০ কিলোমটিার পূর্ব এবং ৬৪৩ কিলোমিটার দক্ষিণে রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
উদ্ধার অভিযানে নেতৃত্ব দিচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের কোস্টগার্ডের কমান্ডাররা। সবাইকে জীবিত উদ্ধারে ঘটনাস্থলে যোগ দিয়েছে ফ্রান্সের বিশেষজ্ঞ দল। সবচেয়ে আধুনিক প্রযুক্তি নিয়েই চলছে উদ্ধারকাজ।
পর্যটকবাহী সাবমেরিনে যারা ছিলেন তাদের পরিচয় জানা গেছে। তারা হলেন– ৫৮ বছর বয়সী ব্রিটিশ ধনকুবের হামিস হার্ডিং, ব্রিটিশ-পাকিস্তানি ব্যবসায়ী শাহজাদা দাউদ (৪৮) ও তার ছেলে সুলেমান দাউদ (১৯), ওশেনগেটের প্রধান নির্বাহী ৬১ বছর বয়সী স্টকটন রাস। পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন, ৭৭ বছর বয়সী নৌবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত ডাইভার পল-হেনরি নারগোলেট।
আবহাওয়ার কারণে আটলান্টিকে অভিযানের কাজটি বেশ ঝুঁকিপূর্ণ এবং জটিল বলছেন সাবেক নাসা মহাকাশচারী এবং মার্কিন নৌবাহিনীর অধিনায়ক মার্কিন সিনেটর মার্ক কেলি।