স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন, ‘কেবল অ্যাপসের মাধ্যমে আগে থেকে নাম নিবন্ধন করে নয়, টিকা নেওয়ার পরও নিবন্ধন করা যাবে।’
আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে জাতীয়ভাবে করোনাভাইরাসের টিকাদান কার্যক্রম শুরু হবে। সেদিন তিনিসহ মন্ত্রীসভার অন্যান্য অনেক সদস্যও টিকা নেবেন বলে জানান তিনি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘অনেকেই আছেন যাদের পক্ষে নির্ধারিত অ্যাপসে গিয়ে নিবন্ধন করা সম্ভব হবে না। তাদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আমি এটাও বলে দিয়েছে, রেজিস্ট্রেশন অ্যাপসে করুক আর নাই করুক যারা টিকা দিতে আসবে, টিকা নিবে তারা, নেওয়ার পর আমরা রেজিস্ট্রেশন করে দিবো। রেজিস্ট্রেশন করা গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু তারচেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া। রেজিস্ট্রেশন পরেও হতে পারে। ফর্ম ফিলাপ করে সই রেখে দেওয়া হলো, পরে সেটা কম্পিউটারে তালিকাভুক্ত করা হলো, ডাটা এন্ট্রি হয়ে থাকলো। সেটার জন্যও আলাদা ব্যবস্থা করতে বলেছি।’
তিনি বলেন, ‘ইউনিয়ন তথ্য কেন্দ্র রয়েছে, সেখানে সব ডাটা এন্ট্রি হয়ে যাবে। কিন্তু ডাটা এন্ট্রি করার পর আমি টিকা নেব-এটাতে আমি বিশ্বাসী না। ডাটা এন্ট্রি যারা করবে, তারাও টিকা নেবে, যারা করবে না, তারাও নেবে। যারা নিবন্ধন করতে পারবেন না, তাদেরটা আমরা করে দিবো।’
আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হবে। এই বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘উপজেলা প্রশাসনসহ জেলা প্রসাশনকে এই বিষয়ে সম্পূর্ণ প্রস্তুতি নেওয়ার জন্যও বলা হয়েছে। ৫০-এর বেশি বয়সী মানুষের সংখ্যা অধিক, তারা হয়তো অ্যাপসের মাধ্যমে নিবন্ধন নাও করতে পারে, আসা যাওয়াতেও অসুবিধা হতে পারে। তাদেরকে সহযোগিতা করার জন্য, বিশেষ করে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, মেয়রসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদেরকে এই সর্ম্পকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
কেবলমাত্র অ্যাপসের ওপর নির্ভর করলে তাড়াতাড়ি এগুতে পারবো না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তাই অ্যাপসের কাজও চলবে, এই মানুষগুলোকে আনতে হবে, তাদের নিবন্ধন করাতে হবে।’
জাহিদ মালেক বলেন, ‘আমরা কাউকে টিকা নিতে বাধ্য করবো না। করতে পারি না, যারা ইচ্ছুক তারা নেবে। পৃথিবীর কোথাও করা হয় না। দেশে বিভিন্ন রকমের টিকা কার্যক্রম চলমান রয়েছে। সেখানেও তো কাউকে বাধ্য করা হয় না, সরকার আহ্বান করে করোনা টিকার ক্ষেত্রেও তাই করা হবে।’
করোনা টিকা নিয়ে মানুষের মধ্যে ‘ওয়েট অ্যান্ড সি’ বিষয়টা চলে এসেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সবাই কেবল অন্যেরটা দেখে সিদ্ধান্ত নিতে চায়, এরকম একটা মানসিকতা রয়েছেই। তবে যখন অনেকেই নিয়ে নেবে, তখন অন্যরা আসবে। এভাবেই হবে টিকাদান কর্মসূচি।’