দক্ষিণ কোরিয়ার আকাশসীমায় উত্তর কোরিয়ার ড্রোন অনুপ্রবেশের ঘটনায় কোরীয় দ্বীপে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। একটি দক্ষিণ কোরিয়ার ‘কেএ-ওয়ান অ্যাটাক’ এয়ারক্রাফ্ট আকাশসীমা লঙ্ঘন করা উত্তর কোরিয়ার একটি ড্রোনকে বাধা দেওয়ার সময় বিধ্বস্ত হয়।
সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) উত্তর কোরিয়ার সামরিক বাহিনীর ড্রোন আকাশসীমা লঙ্ঘনের পরে দক্ষিণের বিমান বিধ্বস্ত হয়। সিউলে বিধ্বস্ত হওয়া বিমানের দুই পাইলটই নিরাপদে বেরিয়ে এসেছেন বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
দক্ষিণের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, দক্ষিণ কোরিয়ার সীমান্তবর্তী জিওংগি-ডো প্রদেশে অপরিচিত বস্তু অনুপ্রবেশ সনাক্ত করেছে। এটি একটি মানববিহীন আকাশযান বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনীর দাবি, একটি ড্রোন দুই দেশের সামরিক সীমান্ত অতিক্রম করেছে। পরে এটি গিম্পো, গাংঘওয়া দ্বীপ এবং পাজু এলাকার উপর দিয়ে উড়ে যায়।
দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদ মাধ্যম নিউজওয়ান জানিয়েছে, ড্রোন খুব কম উচ্চতায় উড়ছিল। এমনকি তাদের খালি চোখেও দেখা গেছে। আর এর মধ্যে একটি ড্রোন কিছু সময়ের জন্য সিউলের আকাশসীমায় প্রবেশ করে।
আকাশসীমা লঙ্ঘনের পর দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী তাৎক্ষণিকভাবে ফাইটার জেট, হেলিকপ্টার ও অন্যান্য সামরিক বিমান উড়ায়। তবে দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের একজন কর্মকর্তার মতে, উত্তর কোরিয়ার আটক করা ড্রোনটিতে কোনো অস্ত্র ছিল কিনা তা স্পষ্ট নয়।
নিজেদের আকাশসীমায় উত্তর কোরিয়ার ড্রোন অনুপ্রবেশ সনাক্ত করার পর, দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী এলাকা ছেড়ে যাওয়ার জন্য বেশ কয়েকটি আদেশ জারি করে এবং সতর্কীকরণ গুলি চালায়।
এ ঘটনায় দক্ষিণ কোরিয়া যে বিমানগুলো মোতায়েন করেছে তার মধ্যে একটি ‘কেএ-১৬ লাইট অ্যাটাক’ ফাইটার ছিল। বিমানটি অজানা কারণে সিউলের পূর্বে হোয়েংসেং কাউন্টিতে বিধ্বস্ত হয়।
উত্তর কোরিয়ার ড্রোন ঘিরে আকস্মিক অস্থিরতার কারণে কর্মকর্তারা দক্ষিণ কোরিয়ার ইনচিওন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং জিম্পো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অস্থায়ীভাবে সমস্ত বেসামরিক ফ্লাইট স্থগিত করতে বাধ্য হয়।
২০১৭ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্র-চালিত থিংক ট্যাঙ্ক কোরিয়া ইন্সটিটিউট ফর ন্যাশনাল ইউনিফিকেশন দাবি করেছিল, পিয়ংইয়ংয়ের প্রায় এক হাজার ড্রোন রয়েছে যা অস্ত্র বহন করতে সক্ষম।