আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন যতই ঘনিয়ে আসছে, দলটির সাধারণ সম্পাদক কে হবেন -এই আলোচনা ততই জোড়ালো হচ্ছে।
টানা দুই মেয়াদে দলটির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছেন ওবায়দুল কাদের।
তিনি আবারও থাকতে পারবেন নাকি পদটিতে পরিবর্তন আসছে-এই আলোচনা এখন আওয়ামী লীগের ভেতরে।
সাধারণ নির্বাচনের আগে প্রতিপক্ষ বিএনপি এবার রাজপথে শক্তি দেখানোর চেষ্টা করছে এবং চ্যালেঞ্জ করছে আওয়ামী লীগ সরকারকে।
এমন প্রেক্ষাপটে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে পরিবর্তন আসতে পারে-এই ধারণা দলটিতে জোড়ালো হচ্ছে বলে মনে হয়েছে।
আর এই ধারণা থেকে দলটিতে সাধারণ সম্পাদক পদের আশায় বেশ কয়েকজন নেতা তৎপর হয়েছেন এবং তারা নিজেদের সাংগঠনিক দক্ষতা দেখানোর চেষ্টা করছেন দলের হাইকমান্ডের কাছে।
দলটির শীর্ষ পদে বা সভাপতি হিসাবে ৪১ বছর ধরে দায়িত্ব পালন করছেন শেখ হাসিনা। তাঁর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ এখন টানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় রয়েছে।
দলের শীর্ষ পদে অন্য কারও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার নজির নেই। এখন পর্যন্ত সভাপতি পদে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই বলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মনে করেন। শেখ হাসিনা এবারও সভাপতি পদে থাকছেন – এটা নিশ্চিত।
ফলে দলের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ পদ সাধারণ সম্পাদকের পদ নিয়েই মূল আলোচনা।
২০১৯ সালে আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনে ওবায়দুল কাদেরের পাশাপাশি দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং কৃষিমন্ত্রী ড: আব্দুর রাজ্জাকের নাম আলোচনায় ছিল। এবারও ড: রাজ্জাকের নাম আলোচনায় এসেছে এবং তিনিও আগ্রহী বলে দলের নেতাকর্মীরা মনে করছেন।
দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক এবং আব্দুর রহমানও সাধারণ সম্পাদক পদে আগ্রহী হয়ে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় হয়েছেন।
এছাড়া আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড: হাছান মাহমুদ এবং শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির নামও আলোচনায় রয়েছেন।
প্রয়াত সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এবং সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীসহ অনেকে টানা দুই মেয়াদ পর্যন্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন।
এছাড়া প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান চার মেয়াদে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। কিন্তু তিনি পরপর দুই মেয়াদে ঐ পদে দায়িত্ব পালনের পর লম্বা সময় বিরতি দিয়ে আবার টানা দুই মেয়াদে সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ফলে টানা তিন বার কারও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালনের নজির নেই।
যদি সাংগঠনিক দক্ষতার বিষয় আসে, তাহলে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক গুরুত্ব পাবেন।
ওবায়দুল কাদের, ড: আব্দুর রাজ্জাক এবং জাহাঙ্গীর কবির নানক এই তিন জনের নামই বেশি আলোচনায় রয়েছে।
আলোচনায় রয়েছেন দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদের ছেলে তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ । তরুণ প্রজন্মের মধ্যে তিনি দারুন জনপ্রিয়। রয়েছেন দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার পছন্দের তালিকা।
সোহেল তাজ কখনো নিজেকে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী দাবি করেননি,তবে গত সম্মেলনে সোহেল তাদের নাম আলোচনায় ছিল।