নৌপরিবহণ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, কোটা আন্দোলন দমাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কোনো ধরনের গুলির নির্দেশনা দেওয়া ছিল না। কিন্তু রংপুরের ছাত্রটি কীভাবে গুলিবিদ্ধ হয়ে হত্যাকাণ্ডের শিকার হলো সেটি তদন্তের বিষয়। আমরা সেটার সঠিক তদন্তের দাবি জানিয়েছি। একইসঙ্গে রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুলের শিক্ষার্থীটিকে কে বা কারা গুলি করেছে আমরা তারও সুষ্ঠু বিচার দাবি করি।
গত ১৮ জুলাই ভাঙচুর হওয়া দিনাজপুরের বসুনিয়াপট্টিতে দিনাজপুর জেলা আ.লীগ ও দিনাজপুর সদর উপজেলা আ.লীগের কার্যালয় পরিদর্শন শেষে আজ শনিবার তিনি এ কথা বলেন।
নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ঢাকার যে রেসিডেন্সিয়াল স্কুলের যে ছাত্রকে হত্যা করা হয়েছে সেই ছাত্রের সেখানে যাওয়ার কথা নয়। স্কুল থেকে ২৭ নম্বরে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। কে গুলি করেছে, কারা গুলি করেছে তা দেখার বিষয়। এসব ঘটনার আমরা বিচার দাবি করি। কারণ এই হত্যাকাণ্ড আওয়ামী লীগের ওপরে আইনশৃঙ্খলার বাহিনীর ওপরে চাপিয়ে দেয়ার হিন প্রচেষ্টা্ হচ্ছে, যা সমগ্র পৃথিবীতে প্রচার করা হচ্ছে।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ছাত্রদের ঢাল বানিয়ে বিএনপি-জামায়াত বাংলাদেশকে জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে, ধ্বংস করে দেওয়াসহ তলাবিহীন ঝুড়ি বানানোর মহাপরিকল্পনা নিয়েছে। এই সন্ত্রাসী নৈরাজ্যকর কর্মকাণ্ড আওয়ামী লীগ বা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে নয়, এই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। এসব কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জামায়াত বিএনপি এবং ইউনুসের গ্যাংরা জড়িত।
দিনাজপুরের জেলা প্রশাসক শাকিল আহমেদ ও দিনাজপুরের এসপি শাহ ইফতেখার আহমেদসহ দলীয় নেতাকর্মীরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।