দেড় বছর আগে পশ্চিম এশিয়ার বৃহত্তম জঙ্গিগোষ্ঠী ‘ইসলামিক স্টেট’ (আইএস)-এর সর্বোচ্চ নেতার দায়িত্ব নিয়েছিলেন তিনি।
বৃহস্পতিবার আইএস প্রধানের আবু আল-হুসেন আল-হাশেমি আল-কুরেশির মৃত্যুর খবর জানানো হল তাঁরই সংগঠনের তরফে। তবে আমেরিকা বা তার পশ্চিমি কোনও মিত্রদেশের বিমানহানা নয়, উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ায় ইদলিব প্রদেশে প্রতিদ্বন্দ্বী জিহাদি গোষ্ঠী ‘হায়াত তাহরির আল-শাম’-এর হামলায় হুসেন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে আইএস। তুরস্কের গুপ্তচর সংস্থা এমআইটির মদতে পুষ্ট হায়াত অতীতেও আইএসের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযান চালিয়েছে।
আইএস মুখপাত্র আবু উমর মুহাজিদ এক বিবৃতিতে সংগঠনের নয়া প্রধান হিসাবে আবু হাফস আল-হাশিমি আল-কুরেশির নামও ঘোষণা করেছেন বৃহস্পতিবার। প্রসঙ্গত, গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে সিরিয়ায় আমেরিকা সেনার অভিযানে নিহত হয়েছিলেন তৎকালীন আইএস প্রধান আইএস প্রধান আবু ইব্রাহিম আল-হাশেমি আল-কুরেশি এবং আইএস মুখপাত্র আবু হামজ়া আল-কুরেশি। কিন্তু তখন নিজেদের সর্বোচ্চ নেতার মৃত্যু নিয়ে মুখ খোলেনি ইসলামিক এই জঙ্গি সংগঠন। এর প্রায় এক মাস পরে এক বিবৃতিতে নিজেদের সংগঠনের নতুন নেতা হিসাবে আবু হুসেনের নাম ঘোষণা করে আইএস।
ওই ঘটনার আগে ২০১৯ সালে পেন্টাগনের একই ধরনের অভিযানে আইএসের প্রতিষ্ঠাতা তথা তাদের সর্বোচ্চ নেতা আবু বকর আল-বাগদাদির মৃত্যু হয়েছিল। তার পর থেকেই দলের ভার সামলাচ্ছিলেন ৪৫ বছরের শিক্ষাবিদ আবু ইব্রাহিম। এক সময়ে ইরাকের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হুসেনের সেনাবাহিনীর সদস্যও ছিলেন তিনি। আবু ইব্রাহিমের ‘ডান হাত’ হিসাবে পরিচিত আবু হুসেন উত্তর-পূর্ব সিরিয়ার হাসাকা শহরের এক কারাগারে হামলা-সহ নানা নাশকতা অভিযানে অংশ নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ।