জাতিসংঘে বাংলাদেশের শান্তিরক্ষী বাহিনীকে নিয়ে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের আহ্বানকে ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
তিনি সম্প্রতি যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টির পদক্ষেপের মূল উদ্দেশ্য বাংলাদেশকে দাবিয়ে রাখা বলেও মনে করেন। মঙ্গলবার সিলেটের খাদিমনগর ইউনিয়নে দরিদ্র লোকদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার বিতরণ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সরকারের বিরুদ্ধে কারো অভিযোগ থাকতে পারে, কিন্তু একটা দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা ঠিক নয়। বিশ্বের যেসব দেশ উন্নতি করে সেসব দেশকে দাবিয়ে রাখতে কিছু দেশি-বিদেশি শক্তি কাজ করে।
জাতিসংঘে শান্তিরক্ষী বাহিনীর যে সকল সদস্যদের নেওয়া হয়, তা অনেক যাছাই বাছাই করেই নেওয়া হয়। এটা বাংলাদেশ জানে। কিন্তু তারা চায় জাতিসংঘে বাংলাদেশের শান্তিরক্ষী বাহিনী না গেলে আর্মির মধ্যে একটা অসন্তোষ দেখা দেবে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ এখন বিদেশিদের কাছ থেকে অল্প ঋণ নিচ্ছে। তারা চায় বাংলাদেশ তাদের কাছে হাত পেতে সাহায্য নেবে। যাতে তারা তাদের ইচ্ছেমত দেশটাকে পরিচালিত করতে পারে।
শুক্রবার জাতিসংঘের পিস অপারেশন বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল (ইউএসজি) জ্যঁ পিয়েরে ল্যাক্রোইক্সের প্রতি নিরাপত্তা বাহিনী সদস্যদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টি পর্যালোচনার জন্য আহ্বান জানায় অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
একই সঙ্গে মানবাধিকার লঙ্ঘনে জড়িতরা যাতে শান্তিরক্ষা মিশনে নিয়োজিত না হতে পারে তা নিশ্চিত করারও আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।