বক্স-অফিস ব্যবসার নিরিখে ‘অ্যানিম্যাল’ সফল। কিন্তু পরিচালক সন্দীপ রেড্ডি বঙ্গা পরিচালিত এই ছবি ঘিরে বিতর্কের ঘনঘটা।
১ ডিসেম্বর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছিল এই ছবি। তার পর থেকেই সমালোচিত হয়েছেন পরিচালক। এই ছবি দেখার পর অনেকেরই মনে হয়েছে গোটা সিনেমাজুড়ে নারীবিদ্বেষী মনোভাবের ছাপ স্পষ্ট। উগ্র পৌরুষত্বের উদ্যাপন করা হয়েছে এই সিনেমায়।
শুধু দর্শক কিংবা সমালোচক নন, বলিউডের অনেকেই এই ছবি পছন্দ করেননি। জাভেদ আখতারের মতো বর্ষীয়ান গীতিকার এই ছবির বিরোধীতা করেছেন। দু’দিন আগে ভূমি পে়ডনেকরও জানিয়েছেন গত বছরের অন্যতম চর্চিত ছবি ‘অ্যানিম্যাল’ একেবারেই তাঁর মনে ধরেনি। বলিউডের অন্য এক অভিনেত্রী হুমা কুরেশি অবশ্য স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, ‘অ্যানিম্যাল’ নিয়ে সমালোচনার যে ঝ়়ড় উঠেছে, তা একেবারেই অপ্রাসঙ্গিক। তাঁর একেবারেই ছবিটিকে নারীবিদ্বেষী বলে মনে হয়নি। বরং হুমার নাকি বেশ ভাল লেগেছে।
হুমা ‘অ্যানিম্যাল’-এর প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে বলেন, ‘‘এই ছবি আমার ভাল লেগেছে। আমার ছবির অ্যাকশন, গানও বেশ পছন্দ হয়েছে। আমার মনে হয় সব সিনেমারই ব্যাপ্তি এতটা বড় হয় হওয়া উচিত।’’
হুমা এই ধরনের ছবিতে কাজ করার আগ্রহও দেখিয়েছেন। হুমা আরও বলেন, ‘‘আমার আসলে এই ধরনের সিনেমায় অভিনয় করতে চাই। হাতে বন্দুক নিয়ে, পাঁচশজনকে গুলি করে দেওয়ার এমন দৃশ্যে অভিনয় করাটা অভিনেতাদের কাছে কতটা উত্তেজনার, সেটা বাইরে বোঝা সম্ভব না।’’
হুমার মতে, কোনও সিনেমা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে মানেই একটা আলাদা ব্যাপার আছে। সাধারণ কোনও সিনেমা নিয়ে এত বিতর্ক, আলোচনা এবং সমালোচনা হতে পারে না। হুমা বলেছেন, ‘‘সমাজবদলের উদ্দেশ্যে অনেক সিনেমা তৈরি হয়েছে, কিন্ত তাতে কোনও বদল আসেনি। তাহলে ইতিবাচক ছবি যদি সমাজের উপর কোনও প্রভাব ফেলতে না পারে, তাহলে ‘অ্যানিম্যাল’ও সমাজের কোনও ক্ষতি করতে পারবে না।’’