ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটকে রাজধানীর রমনা থানায় অস্ত্র আইনে করা মামলায় অভিযুক্ত করে চার্জশিট দিয়েছে র্যাব।
বুধবার ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে এ চার্জশিট জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র্যাব-১ এর উপ-পরিদর্শক শেখর চন্দ্র মল্লিক।
ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকেই তাকে গ্রেফতার করা নিয়ে নানা গুঞ্জন শুরু হয়। পরে গত ৬ অক্টোবর কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের আলকরা ইউনিয়নের কুঞ্জুশ্রীপুর গ্রামে আত্মগোপনে থাকা সম্রাটকে গ্রেফতার করে র্যাব। এসময় তার সঙ্গে আরমানকেও গ্রেফতার করা হয়। পরে ঢাকায় এনে তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
পরে ৬ অক্টোবর দুপুরে র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলমের নেতৃত্বে র্যাবের একটি দল কাকরাইলে ভূঁইয়া ট্রেড সেন্টারে তালা ভেঙে সম্রাটের কার্যালয়ে ঢুকে অভিযান শুরু করে। নিজ কার্যালয়ে পশুর চামড়া রাখার দায়ে তার ছয় মাসের জেল দিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
এছাড়াও গত ৭ অক্টোবর রমনা মডেল থানায় র্যাব-১ এর ডিএডি আব্দুল খালেক বাদী হয়ে সম্রাটের নামে অস্ত্র ও মাদক আইনে পৃথক দুটি মামলা করেন। এর মধ্যে যুবলীগের সহ-সভাপতি এনামুল হক আরমানকেও মাদক মামলায় আসামি করা হয়েছে।
এই দুই মামলায় গত ১৫ অক্টোবর আদালত সম্রাটকে ১০ দিনের রিমান্ডে পাঠান। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গত ২৪ অক্টোবর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। বর্তমানে তিনি কারাগারে।