অস্ত্র আইনে করা মামলায় আওয়ামী যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়া এবং তার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরীর বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করেছেন আদালত। এর মধ্যে দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের বিচার শুরু হলো।
রোববার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশ অভিযোগ গঠন শুনানি শেষে এই আদেশ দেন। একইসঙ্গে এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ৩১ আগস্ট পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়েছে। সেদিন থেকে ধারাবাহিকভাবে সাক্ষ্যগ্রহণ চলবে। এসময় আসামিপক্ষে জামিন ও অব্যাহতির (ডিসচার্জ) আবেদন করা হলে আদালত তা খারিজ করে দেন।
এর আগে কারাগার থেকে আসামি শামীমা নূর পাপিয়া ও তাঁর স্বামী মফিজুর রহমানকে আদালতে হাজির করা হয়।
চলতি বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি শামীমা নূর পাপিয়া ও তাঁর স্বামী মফিজুর রহমান বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার সময় বিমানবন্দর থেকে র্যাব তাঁদের গ্রেপ্তার করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে সাতটি পাসপোর্ট, দুই লাখ ১২ হাজার ২৭০ টাকা, ২৫ হাজার ৬০০ টাকার জাল নোট, ১১ হাজার ৪৮১ ডলার, শ্রীলঙ্কা ও ভারতের কিছু মুদ্রা এবং দুটি ডেবিট কার্ড জব্দ করা হয়। র্যাব-১-এর অধিনায়ক শাফিউল্লাহ বুলবুল তখন জানান, পাপিয়ার আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের কোনো মিল নেই। রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে বুকিং দেওয়া বিলাসবহুল প্রেসিডেনশিয়াল স্যুট রুম এবং ইন্দিরা রোডের ফ্ল্যাট থেকে বিদেশি একটি পিস্তল, ২টি ম্যাগাজিন, পিস্তলের ২০টি গুলি, ৫ বোতল দামি বিদেশি মদ ও ৫৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা, ৫টি পাসপোর্ট, ৩টি চেক, কিছু বিদেশি মুদ্রা, বিভিন্ন ব্যাংকের ১০টি ভিসা ও এটিএম কার্ড উদ্ধার করে র্যাব।
গ্রেফতারের পর পাপিয়া ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে শেরেবাংলা নগর থানায় অস্ত্র ও মাদক আইনে দুটি মামলা করে র্যাব। অস্ত্র ও মাদক আইনের মামলায় গত ২৯ জুন আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে র্যাব। গত ১৮ আগস্ট মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ করে আদালত অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য রোববার দিন ধার্য করেন।