তিন মাসেরও বেশি সময় অতিক্রান্ত, এখনও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামেনি। যত দিন গড়াচ্ছে, যুদ্ধের ভয়াবহতার ছবি ততই যেন প্রকট হচ্ছে। রুশ আগ্রাসনে কার্যত বিধ্বস্ত অবস্থা ইউক্রেনের। এই প্রেক্ষাপটে ভ্লাদিমির পুতিনের দেশকে টক্কর দিতে মিত্র দেশগুলির অস্ত্রভাণ্ডারের উপর ভরসা রাখতে চাইছেন জেলেনস্কি। এতদিন সাবেক সোভিয়েত ও পরবর্তীকালে রাশিয়ার তৈরি যে অস্ত্রের সম্ভার কিভের হাতে ছিল, গত কয়েকমাসের যুদ্ধে তার সংখ্যা তলানিতে ঠেকেছে। আর সে কারণেই আর ‘শত্রু’ দেশের তৈরি হাতিয়ার নিয়ে যুদ্ধের ময়দানে নামতে রাজি নন জেলেনস্কি, মার্কিন সেনাবাহিনী সূত্র মারফত এমনটাই জানা গিয়েছে।
একদা সোভিয়েত ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত ছিল ইউক্রেন। সে কারণেই সোভিয়েত ও রাশিয়ার অস্ত্রের ভাণ্ডারে সজ্জিত হয়েছিল ইউক্রেনের সেনা ও প্রতিরক্ষা বিভাগ। ছোট অস্ত্র থেকে ট্যাঙ্ক-কামান, নানা ধরনের যুদ্ধাস্ত্র হাতে ছিল কিভের। মার্কিন সেনাবাহিনী সূত্রে জানা যাচ্ছে, গত তিন মাস ধরে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে ইউক্রেনের সেই অস্ত্রভাণ্ডার কার্যত ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। তাই আমেরিকা ও ন্যাটো দেশগুলির দেওয়া অস্ত্র ব্যবহারে বর্তমানে জোর দিচ্ছে কিভ।
রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনের যুদ্ধের শুরুতে কিভকে অস্ত্র সরবরাহে খানিকটা দ্বিধাগ্রস্ত ছিল পশ্চিমের দেশগুলি। ইউক্রেনের সৈন্যবাহিনীর হাতে হাতিয়ার তুলে দিলে তাদের অত্যাধুনিক অস্ত্র রুশ সৈন্যদলের নজরে আসতে পারে, পশ্চিমের দেশগুলির মধ্যে এই আশঙ্কাই দানা বেঁধেছিল। তাই কিভ বাহিনীর শক্তি বাড়াতে পশ্চিমি দেশগুলির হাতে রুশ প্রযুক্তির সমকক্ষীয় অস্ত্রসম্ভার ছিল, তা জেলেনস্কির দেশকে সরবরাহ করার প্রস্তাব দিয়েছিল তারা।মারিয়ুপোল-সহ ইউক্রেনের বিভিন্ন শহর কব্জা করেছে পুতিনের সৈন্যদল। ধারে ভারে কয়েকগুণ শক্তিশালী রুশ বাহিনীকে প্রতিহত করতে পিছপা হয়নি জেলেনস্কির দেশ। আন্তর্জাতিক মহলের একাংশের মতে, গত কয়েকমাস ধরে আগ্রাসন চালালেও ইউক্রেনকে পুরোপুরি ‘জব্দ’ করতে পারেনি রাশিয়া।