The news is by your side.

অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের ফাইনালে সানিয়া মির্জা : টেনিসকে বিদায়

0 123

 

অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের মিক্সড ডাবলসের শেষ চারে পৌঁছে গেলেন সানিয়া মির্জা-রোহন বোপান্না জুটি। শেষ আটের লড়াইয়ে মঙ্গলবার তাঁরা ওয়াক ওভার পেয়ে যান জেলেনা ওস্তাপেঙ্কা ও ডেভিড হার্নান্ডেজ জুটির কাছে।

সেমিতে সানিয়াদের প্রতিপক্ষ কারা হবেন তা এখনও ঠিক হয়নি। উল্লেখ্য, সোমবার উরুগুয়ে-জাপানি জুটি এরিয়েল বেহের ও মাকাতো নিনোমিয়ার সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করে ৬-৪, ৭-৬ (১১-৯) স্ট্রেট সেটে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে পা রেখেছিলেন সানিয়া-বোপান্না।

সানিয়া মির্জা ও রোহন বোপান্না দুই ভারতীয় তারকাই চলতি অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে নিজেদের ডাবলস ম্যাচ হেরে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গিয়েছেন। তবে সেই হতাশা পিছনে ফেলে মিক্সড ডাবলসে জুটি বেঁধে গ্র্যান্ড স্ল্যামের শেষ আটে পৌঁছে গিয়েছিলেন সানিয়া, রোহন। স্ট্রেট সেটে ভারতীয় তারকা জুটি মাকোটো নিনোমিয়া ও এরিয়েল বেহারের জুটিকে পরাজিত করেন।

ম্যাচের তৃতীয় গেমেই ভারতীয় জুটি প্রতিপক্ষের সার্ভিস ব্রেক করতে সক্ষম হন। তবে নিনোমিয়ারা সঙ্গে সঙ্গেই ম্যাচে প্রত্যাবর্তন ঘটিয়ে স্কোর ৩-৩ করে ফেলেন। ম্যাচ সমতায় ফেরার পর ভারতীয় জুটি দুরন্ত টেনিস খেলে ৬-৪ স্কোরে প্রথম সেটে জিতে নেয়। দ্বিতীয় সেটে আরও হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়। ৬-৬ স্কোরলাইনে দ্বিতীয় সেট পৌঁছনোর পর টাই ব্রেকারেও শেষ পর্যন্ত চলে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। অবশেষে ১১-৯ স্কোরলাইনে টাই ব্রেকার জিতে নেন সানিয়া-রোহন। প্রসঙ্গত, বছরের প্রথম গ্র্যান্ডস্ল্যাম থেকে সানিয়ারা বাদে ইতিমধ্যেই বাকি ভারতীয় টেনিস তারকার ছিটকে গিয়েছেন।

টেনিসকে বিদায় সানিয়ার

এই অস্ট্রেলিয়ান ওপেনই যে তাঁর শেষ গ্র্যান্ডস্লাম তা আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন সানিয়া মির্জা। তিনি সানিয়া তাঁর ইনস্টাগ্রামে লিখেছিলেন, ”৩০ বছর আগে হায়দরাবাদের একটি ছয় বছরের মেয়ে তাঁর মায়ের সঙ্গে প্রথমবার নিজাম ক্লাবের টেনিস কোর্টে গিয়েছিল এবং কোচ কীভাবে টেনিস খেলতে হয় তা ব্যাখ্যা করেছিলেন। কোচ ভেবেছিলেন টেনিস শেখার জন্য আমি খুব ছোট। আমার স্বপ্নের জন্য লড়াই শুরু হয়েছিল ছয় বছর বয়সেই।

আমার বাবা-মা এবং বোন, আমার পরিবার, আমার কোচ, ফিজিও সহ আমার পুরো টিম, যারা ভালো এবং খারাপ সময়ে আমার পাশে দাঁড়িয়েছিল তাদের সমর্থন ছাড়া এটি সম্ভব হত না। আমি তাদের প্রত্যেকের সঙ্গে আমার হাসি, কান্না, বেদনা এবং আনন্দ ভাগ করে নিয়েছি। আমি এর জন্য সকলকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। আপনারা সকলে আমার জীবনের সবচেয়ে কঠিন পর্যায়ে আমাকে সাহায্য করেছেন। আপনারা হায়দরাবাদের এই ছোট্ট মেয়েটিকে শুধু স্বপ্ন দেখার সাহসই দেননি, তাঁকে সেই স্বপ্নগুলো পূরণ করতেও সাহায্য করেছেন। আপনাদের সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ।”

Leave A Reply

Your email address will not be published.