জঙ্গিবাদ ও মৌলবাদের আস্ফালন এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের অপচেষ্টারোধে সাংবাদিকদের কলম এবং ক্যামেরা হতে পারে সবচেয়ে বড় হাতিয়ার।
শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় স্বাধীনতা মিলনায়তনে নর্থ বেঙ্গল জার্নালিস্ট ফোরাম-এনবিজেএফ আয়োজিত শিশু সংগঠক ও সাংবাদিক রফিকুল হক (দাদু ভাই) স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এ কথা বলেন।
দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে শিশুদের সংস্কৃতিচর্চাকে অপরিহার্য বলে বর্ণনা করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ৷
মন্ত্রী এসময় প্রয়াত রফিকুল হকের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, শিশুদের প্রতিভা বিকাশে তার ভূমিকা অনুসরণীয়।
শিশুপ্রতিভা বিকাশের লক্ষ্যে তথ্যমন্ত্রী বাংলাদেশ টেলিভিশনে শিশু-কিশোরদের ‘নতুন কুঁড়ি’ অনুষ্ঠানটি আবার চালু করতে নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান এবং সংবাদপত্রগুলোতে সাপ্তাহিকভাবে শিশুতোষ পাতা প্রকাশের অনুরোধ করেন।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আমাদের দেশে মাঝেমধ্যে যে জঙ্গিবাদ-মৌলবাদের আস্ফালন এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের অপচেষ্টা হয়, এসব আরো কমে যাবে যদি আমরা শিশুদেরকে সংস্কৃতিমনা হিসেবে গড়তে পারি, তাদের ভেতরে আমাদের অসাম্প্রদায়িক চেতনা সঞ্চার করতে পারি।
সাংবাদিকবৃন্দ দেশের মানুষের মনন তৈরিতে সক্ষম উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, সাংবাদিকদের হাতে কলম রয়েছে, ক্যামেরাও রয়েছে। মানুষের মাঝে অসাম্প্রদায়িক চেতনা বিস্তারে কাজ করে তারা দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ধারা বজায় রাখতে বড় ভূমিকা রাখতে পারে।
কথাসাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলন বলেন, দাদু ভাই না থাকলে তার হয়তো লেখক হওয়াই হতো না।
দৈনিক বর্তমানের নির্বাহী সম্পাদক ও এনবিজেএফের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নজমুল হক সরকারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেনের সঞ্চালনায় স্মরণসভায় ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু,বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম এ আজিজ ও সাবেক কোষাধ্যক্ষ খায়রুজ্জামান কামালসহ এনবিজেএফের সদস্যবৃন্দ বক্তৃতা দেন।