নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধি নিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, ‘অসাধু ব্যবসায়ীরা বারবার সুযোগ নিচ্ছে। তবু সরকার চেষ্টা করছে।’
তিনি বলেন, ‘ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়ার পরই প্রতি পিসে এক টাকা করে কমে গেছে। আমদানির ডিম মাত্র ৬২ হাজার পিস আসার পরেই এখন প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে সাড়ে ১০ টাকা করে। যা সরকার নির্ধারিত দর ১২ টাকার চেয়েও কম।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা দক্ষিণ সিটির ১২ নম্বর ওয়ার্ডে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) ভর্তুকি মূল্যে নভেম্বর মাসের পণ্য বিক্রি কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, টিসিবির চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আরিফুল হাসান, ১২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মামুন রশিদ শুভ্র প্রমুখ।
মন্ত্রী বলেন, ‘কিছু জায়গায় টিসিবির বর্তমান কার্ড নিয়ে অসামঞ্জস্যতা হয়েছিল। তবে এখন থেকে নিশ্চয়তা দেওয়া হচ্ছে কার্ডে আর কোনো অসামঞ্জস্যতা থাকবে না। এরপরও যদি সমস্যা হয় তাহলে অবশ্যই তা সমাধান করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘এক কোটি স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ড বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এই কার্ড সম্পূর্ণ ফ্রি। এর জন্য কোনো টাকা দিতে হবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘দেশের চাহিদার প্রায় ৮০ শতাংশ পেঁয়াজ উৎপাদন হয়। বেশ কয়েক বছর ধরে চাহিদার বাকি ২০ শতাংশ পেঁয়াজ আমদানি করতে হয়। এর ৯০ শতাংশই আসে ভারত থেকে। অর্থাৎ, বছরে ২৪ লাখ টন চাহিদার বিপরীতে ৭ থেকে ৮ লাখ টন আমদানি করতে হয়। কিন্তু ভারত নিজেদের প্রয়োজনে যখন পেঁয়াজ রপ্তানিতে শুল্ক আরোপ করে বা রপ্তানি মূল্য বেঁধে দেয় তখন বাংলাদেশে এর প্রভাব পড়ে।’