সুইজারল্যান্ডে অর্থ পাচারকারীদের ব্যাপারে জানতে অবশেষে দেশটির সাথে বাংলাদেশ সুনির্দিষ্ট চুক্তি করার পথে হাটছে বলে জানিয়েন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।
সুইজারল্যান্ড ছাড়াও পানামাসহ কয়েকটি দেশে পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও জানান সরকারের এই শীর্ষ কূটনীতিক।
সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকে কেবল ২০২১ সালে ৮৭ কোটি ১১ লাখ সুইস ফ্রাঁ জমা করেছে বাংলাদেশিরা, টাকায় যা ৭ হাজার ২৭৬ কোটি। কে বা কারা এই টাকার মালিক, ব্যক্তিগত গোপনীয়তার অজুহাতে সরকারকে তা জানায় না দেশটি, এমন ধারণা দিয়ে আসছিলেন নীতিনির্ধারকরা। গত ১০ আগস্ট ডিক্যাব টকে ঢাকায় নিযুক্ত সুইস রাষ্ট্রদূত নাথালি চুয়ার্ড জানান, দেশটির কাছে এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্যই চায়নি বাংলাদেশ।
এ অবস্থান নিয়ে আপত্তি জানান খোদ পররাষ্ট্রমন্ত্রী। শেষ পর্যন্ত বিষয়টি আদালেতে গেছে। শুনানি শেষে বিষয়গুলো লিখিতভাবে জানাতে আগামী রোববার (২১ আগস্ট) দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।
সম্প্রতি বিতর্ক ওঠা কূটনীতিক আনারকলি ইস্যুতেও কথা বলেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। জানিয়েছেন, ইন্দোনেশিয়ায় কর্মরত অবস্থায় বাংলাদেশি কূটনীতিক কাজী আনারকলির বাসভবনে মাদক রাখার ঘটনার সত্যতা মিলেছে। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
১৬ আগস্ট একনেক সভায় রাশিয়ার থেকে জ্বালানি তেল আমদানির সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের যে অনুশাসন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সেটির চ্যালেঞ্জগুলো খতিয়ে দেখার কথাও জানান মাসুদ বিন মোমেন।