এ বছর অর্থনীতিতে যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন অভিজিৎ ব্যানার্জি, অ্যাস্থার ডাফলো এবং মাইকেল ক্রেমার। দারিদ্র্য বিমোচনের পথ খুঁজতে উন্নয়ন অর্থনীতির গবেষণার ধরণ বদলে দিয়ে তারা এ নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন।
রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্সেস সোমবার অর্থনীতিতে চলতি বছরের নোবেলজয়ী হিসেবে অভিজিৎ ব্যানার্জি, এস্তার ডুফলো ও মাইকেল ক্রেমারের নাম ঘোষণা করে।
অভিজিৎ ব্যানার্জি হলেন দ্বিতীয় বাঙালি, যিনি অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। এর আগে, দুর্ভিক্ষ, মানব উন্নয়ন তত্ত্ব, জনকল্যাণ অর্থনীতি ও গণদারিদ্রের অন্তর্নিহিত কার্যকারণ বিষয়ে গবেষণা এবং উদারনৈতিক রাজনীতিতে অবদান রাখার জন্য ১৯৯৮ সালে অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার পান বাঙালি অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র ৫৮ বছর বয়সী অভিজিৎ ব্যানার্জি জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও হার্ভার্ড ইউনির্ভাসিটিতেও পড়ালেখা করেছেন। ১০৮৮ সালে সেখান থেকে পিএইচডিও করেন তিনি।
বর্তমানে ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির (এমআইটি) ফোর্ড ফাউন্ডেশন ইন্টারন্যাশনালের অর্থনীতির অধ্যাপক হিসেবে কাজ করছেন।
এছাড়া বচেয়ে কমবয়সী ও দ্বিতীয় নারী হিসেব অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির (এমআইটি) অধ্যাপক এসথার ডালফো।
নোবেল পুরস্কারের ৯০ লাখ সুইডিশ ক্রোনার ভাগ করে নেবেন তারা। আগামী ১০ ডিসেম্বর সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে।