নির্বাচন কমিশন (ইসি) মো. আলমগীর বলেছেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া প্রশাসনে কোনো রদবদল করা হবে না।
বুধবার নির্বাচন কমিশনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণে ভারত-রাশিয়াসহ ৩৪ দেশকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এর পাশাপাশি চার সংস্থাকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, আমরা যেসব দেশের নির্বাচন কমিশনকে আমন্ত্রণ জানিয়েছি, সেসব কমিশনের কোনো কমিশনার বা কর্মকর্তা যদি বাংলাদেশে আসেন, তা হলে এখানে তাদের যাতায়াতর খরচ, হোটেল ভাড়া ও থাকা-খাওয়ার খরচ কমিশন ব্যবস্থা করবে। তবে তাদের বিমান খরচ বহন করা হবে না। এ ছাড়া অন্যান্য সংস্থা বা সাংবাদিকরা এলে তাদের সব খরচ নিজেদের বহন করতে হবে।
রাজনৈতিক দলগুলোর মনোনয়ন বিক্রি করতে আচরণবিধি ভঙ্গ নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মনোনয়ন ফরম কেনার সময় পার্টি অফিসে রাজনৈতিক দলগুলোর কার্যকলাপ আচরণবিধি লঙ্ঘনের মধ্যে পড়বে না। কিন্তু মনোনয়ন ফরম কেনার সময় গাড়ি ও মোটরসাইকেলের শোডাউন করতে পারবে না।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আমন্ত্রণ জানানোর তালিকায় সার্কভুক্ত দেশগুলো হলো— ভারত, ভুটান, মালদ্বীপ, নেপাল ও শ্রীলংকা।
এ ছাড়া অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ফ্রান্স, জর্জিয়া, ইন্দোনেশিয়া, কাজাখস্তান, রাশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, মিশর, তুরস্ক, উজবেকিস্তান, আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, দক্ষিণ আফ্রিকা, সেনেগাল ও থাইল্যান্ডকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
আমন্ত্রণ জানানো ওআইসিভুক্ত ১০ দেশ হলো— আজারবাইজান, মালয়েশিয়া, মরিশাস, তিউনিশিয়া, ব্রুনাই, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, ওমান, কুয়েত ও সৌদি আরব।
একক দেশ হিসেবে জাপান, চীন ও সিঙ্গাপুরকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
আন্তর্জাতিক সংস্থা হিসেবে দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা (সার্ক), ওআইসি, দ্য অ্যাসোসিয়েশন অব ওয়ার্ল্ড ইলেকশন বডিজ (এ-ওয়েব) ও ফোরাম অব ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট সাউথ এশিয়াকে (ফিমবোসা) আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।