নিজস্ব প্রতিবেদক
অভিমান, চোখের জল সব মুছে ফের জাতীয় দলে খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন টাইগার অধিনায়ক তামিম ইকবাল।
বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর মাত্র ১২ ঘন্টার ব্যবধানে সিদ্ধান্ত পাল্টালেন বাংলাদেশ ওয়ানডে টিমের ওপেনার তামিম।
অভিমান ভাঙ্গার পেছনের গল্পটা অবশ্য সবার নজরে এসেছে। প্রধানমন্ত্রী পক্ষ থেকে গণভবনে ডাক পড়েছিল বিসিবি সভাপতি পাপন ও অধিনায়ক তামিমের।
শুক্রবার (৭ জুলাই) সকালেই চট্টগ্রাম ছেড়ে ঢাকায় চলে আসেন তামিম। বেলা আড়াইটায় গণভবনে প্রবেশ করেন তামিম। তামিমের সঙ্গে ছিলেন তার স্ত্রী আয়শা। এছাড়া ছিলেন বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি মর্তুজা।
গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে সাক্ষাৎ শেষে জাতীয় দলে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন টাইগার ওপেনার। তবে আপাতত দেড় মাসের বিশ্রামে থাকবেন তিনি। আসন্ন এশিয়া কাপ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরবেন দেশসেরা এই ব্যাটার।
গণভবন থেকে বেরিয়ে তামিম ইকবাল জানান, তিনি প্রধানমন্ত্রীর অনুরোধে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত বাতিল করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী তাকে এক মাসের ছুটিতে যেতে বলেছেন। তারপর তিনি জাতীয় দলে আবার যোগ দেবেন। তামিমের ভাষায়, ‘এমন একজন মানুষের অনুরোধ ফেরানো যায় না।’
যার উপর যতই অভিমান থাক, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সামনে দাঁড়িয়ে না বলার সক্ষমতা যে কারোরই নেই, তামিম ইকবালের সিদ্ধান্ত বদলানোর মধ্য দিয়ে তা আরেকবার প্রমাণ হলো।
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নয়, ক্রিকেটের একজন ভক্ত হিসেবে বঙ্গবন্ধু কন্যার পরিচিতি দীর্ঘদিনের। সময়সূচী পেলেই টিভি সেটের সামনে বসেন অথবা সরাসরি মাঠে চলে যান।
যে কোনো খেলোয়াড়কে নিজেই সরাসরি ফোন দিয়ে খোঁজখবর নেন।
খুব সহজ করে বললে, ক্রিকেটের অঘোষিত অভিভাবকের দায়িত্ব নিয়ে নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আর তাইতো সাকিব, তামিম যেই হোক না কেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মুখের উপর না বলার সাহস, ধৃষ্টতা কিংবা সক্ষমতা কোনটি থাকবার কথা নয়।