ঈদে সালহা খানম নাদিয়ার বেশ কয়েকটি নাটক আলোচিত হয়েছে। এর মধ্যে আছে ‘হাকুল্লা’, ‘রোদের সঙ্গে আড়ি’। পাশাপাশি চলচ্চিত্রেও নাম লিখিয়েছেন ছোট পর্দার এই অভিনেত্রী, মাঝে বলিউডের একটি সিনেমার প্রস্তাব ফিরিয়েছেন তিনি।
দর্শক হিসেবে ঈদের কোন নাটকটা আপনার নিজের ভালো লেগেছে?
ইশতিয়াক আহমেদের ‘হাকুল্লা’ দেখে বেশ মজা লেগেছে। জীবনের নানান জটিলতার মধ্যে সবাই কমেডি পছন্দ করে। নাটকটা মজার, ওই রকম ভাঁড়ামি নেই। সাগর জাহানের ‘বক্কর’, মাহমুদ হাসানের ‘আপনা বাপের বড় পোলা’, রাহাত কবিরের ‘রোদের সঙ্গে আড়ি ভালো’ লেগেছে। এবার খুব বেশি কাজ করতে পারিনি।
কেন?
ভারতে আমার চিকিৎসা চলছিল, অস্ত্রোপচার হয়। পরে ঢাকায় ফিরে বিশ্রামে ছিলাম। আবার নাটকের চিত্রনাট্যগুলোও পছন্দ হচ্ছিল না।
আপনার কাছে আসা বেশির ভাগ চিত্রনাট্য কী ধরনের?
যে কেউ নাটক বানাচ্ছেন, যে কেউ অভিনয় করছেন। যাঁরা অভিনয় জানেন না, তাঁদের নিয়েও কাজ করছেন। এ রকম কাজ আমি করব না, আগেও করিনি। কমেডি গল্প বেশি আসছে। কমেডির একটা সীমা থাকা দরকার। আমি কমেডি করতে চাই, সমস্যা নেই। তবে নাটকে বার্তা থাকতে হবে।
‘রেডরাম’ ছাড়া আপনাকে ওটিটিতে দেখা যায়নি। কারণ কী?
আমার কাছে প্রস্তাব আসেনি। আমি অপেক্ষা করছি। এখন নতুন নতুন শিল্পী এসেছেন, তাঁরা গ্রুপ হয়ে গেছেন। তাঁরা হয়তো একসঙ্গে কাজ করতে পছন্দ করেন। আমি ‘সিন্ডিকেট’ শব্দটা ব্যবহার করতে চাই না। হয়তো আমার সঙ্গে তাঁদের কাজ করতে ভালো লাগে না। তাঁদের সঙ্গে আমার যোগাযোগ, লবিং, বন্ধুত্ব নেই। আমার অভিনয়ের ওপর নির্ভর করে কেউ কাজ করাতে চাইলে ও চিত্রনাট্য পছন্দ হলে অবশ্যই ওটিটিতে কাজ করব।
‘সুনেত্রা সুন্দরম’–এর খবর কী?
ঢাকার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান বিডি বক্স প্রোডাকশনের ব্যানারে সিনেমাটি নির্মাণ করছেন শিবরাম শর্মা। পরিচালক ঢাকার বেশ কয়েকটি মিউজিক ভিডিও পরিচালনা করেছেন। সিনেমার ডিওপি রাজন হোসেন। তাঁরা কলকাতা ও বাংলাদেশের শিল্পীদের নিয়ে কাজ করতে চেয়েছেন। বাংলাদেশ থেকে আমি, ফারজানা চুমকি আপু ও রকি খান আছেন। সিনেমার প্রধান তিন চরিত্রে পার্নো মিত্র, চুমকি আপু ও আমি অভিনয় করছি। নারীদের অধিকার নিয়ে আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে সিনেমাটি নির্মাণ করা হচ্ছে। দৃশ্যধারণ প্রায় শেষ, গানের অংশ বাকি আছে। অনুমতি পেলে আগামী মাসে দৃশ্যধারণ শেষ করতে পারব। ছবিটি বাংলাদেশ, কলকাতা ও আসামে মুক্তি পাবে।
আর কোনো সিনেমার প্রস্তাব পেয়েছেন?
বাণিজ্যিক সিনেমার প্রস্তাব প্রায়ই আসে। তবে আমি প্রস্তুত না। অনেক টাকাপয়সা উপার্জন করতে হবে—এমন কোনো লক্ষ্য আমার নেই। অভিনয়টা আমার প্যাশন, ভালো লাগে বলে করি। বিশাল ভরদ্বাজের ‘খুফিয়া’ সিনেমার প্রস্তাব পেয়েছিলাম, করিনি।
কেন?
নিজের মধ্যে রেসট্রিকশন তৈরি হয়েছিল। চিত্রনাট্য পড়েছি, সবকিছুই মোটামুটি। তবে বাংলাদেশকে ছোট করা হয়েছে। আর চরিত্রটা বোল্ড, এটার জন্য সাহস লাগবে। চরিত্রটার জন্য নাদিয়া প্রস্তুত না। এর চেয়ে বেটার কাউকে নেন। ওদের সঙ্গে ভালো যোগাযোগ আছে।