আধুনিক বাংলা নাট্যজগতের খ্যাতনামা অভিনেতা ও নাট্যকার শিশির কুমার ভাদুড়ির জীবন নিয়ে তৈরি ছবিতে বিশেষ চরিত্রে রয়েছেন পায়েল সরকার।
পায়েল বলেন, পিরিয়ড ছবি। তার উপর বায়োপিক। বাংলায় অনেক সময়েই বাজেটের কারণে এই ধরনের ছবি তৈরি হয় না। চিত্রনাট্য পড়ার দিন থেকে ছবিটার জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছিলাম। প্রচুর খেটেছি। এই ছবিটা আমার ক্যারিয়ারে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ছবি হয়ে রয়ে যাবে।
তিনি বলেন, শিশির ভাদুড়ির জীবন ছিল বর্ণময়। তাঁর সংস্পর্শে এসেছিলেন একাধিক নারী। ছবিতে আমি কঙ্কাবতীর চরিত্রে। কঙ্কাবতী তাঁর জীবনে অনেকটা পরের দিকে এসেছিলেন। দু’জনের বয়সের পার্থক্যও অনেকটাই।
কঙ্কাবতী হয়ে ওঠার জন্য নিজেকে তৈরি করার বিষয়ে পায়েল বলেন, রেশমিদি (ছবির পরিচালক রেশমি মিত্র) নিজে নাটক থেকে এসেছেন। আমাকে বেশ কিছু বই পড়তে দিয়েছিলেন।
নীলদাও (নীল মুখোপাধ্যায়) আমাকে বেশ কিছু পড়ার জিনিস দিয়েছিলেন। আমার তো নাটকের কোনও ব্যাকগ্রাউন্ড নেই। তাই এই ছবির জন্য নিজেকে তৈরি করতে অনেকটাই সময় নিয়েছিলাম।
রাজনীতিতে আসার পর সিনেমা জগতে আপনাকে কোণঠাসা করা হয়েছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে পায়েল বলেন, রাজনীতিতে আসার পর আমি যতটা নিয়মিত কাজ করছি, রাজনীতি পূর্ব ক্যারিয়ারে কিন্তু এক সঙ্গে সেরকম কাজ করিনি। তাই কে বা কারা এগুলো বলছেন আর কেন-ই বা বলছেন আমার জানা নেই। তবে রাজনীতি আমার ক্যারিয়ারের ক্ষতি করেনি, এটাই বলতে পারি।
রাজনীতি থেকে সরে আসার বিষয়ে এই অভিনেত্রী বলেন, তিন-চার মাস রাজনীতির মধ্যে থেকে এটাই বুঝেছি যে অভিনয়টাই আমার প্রায়োরিটি এবং প্যাশন। রাজনীতিতে সময় দিতে হয়।
হয়তো দিনের ২৪ ঘণ্টার চেয়েও রাজনীতি আপনার থেকে বেশি সময় দাবি করে। সেই সময় আমার নেই। এই মুহূর্তে রাজনীতি করতে চাই না। ভবিষ্যতে বা ১০ বছর পর কী হবে, সেটা তখন দেখা যাবে।