অবশেষে ভেঙেই গেল পরীমনি ও শরিফুল রাজের সংসার । সোমবার স্বামী রাজকে ডিভোর্স লেটার পাঠিয়েছেন পরী।
পরীমনি কিছু না জানালেও মুখ খুলেছেন রাজ। তিনি এর কিছু জানেন না বলে অবহিত করেছেন সংবাদমাধ্যমকে। অনেকটা চমকে উঠে রাজ বলেন, ‘তাই নাকি? আপনার কাছেই প্রথম শুনলাম। ভাই আমি মাত্র ঘুম থেকে উঠেছি। এ ব্যাপারে কিছুই জানি না।’
একাধিকবার রাজ-পরীমণির সংসারে ভাঙ্গনের সুর বেজেছে। তবে খাদের কিনার থেকেও এক হয়েছেন তারা। একরত্তি সন্তানের কথা ভেবেই হননি আলাদা। এবার আর শেষরক্ষা হলো না। পরী-রাজের দুই পথ দুদিকেই বেঁকে গেল।
২০২১ সালের ১৭ অক্টোবর গোপনে একে অপরকে জীবনসঙ্গী হিসেবে বিয়ে করেন পরীমনি ও রাজ। খবরটি প্রকাশ্যে আনেন ২০২২ সালের ১০ জানুয়ারি। একই দিন আরও ঘোষণা করেন, সন্তান আসছে তাদের ঘরে। এরপর ২২ জানুয়ারি পারিবারিক আয়োজনে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতাও করেন তারা। গত বছরের ১০ আগস্ট পরীমনির কোলজুড়ে আসে ছেলে রাজ্য। সন্তান জন্মের বছর খানেকের মাথায় ভেঙে গেল রাজ-পরির সংসার।
পরী কারণ হিসেবে সেগুলো উল্লেখ করেননি বিচ্ছেদপত্রে। সেখানে তিনি কারণ হিসেবে জানান, মনের অমিল হওয়া, বনিবনা না হওয়া, খোঁজ না নেওয়া ও মানসিক অশান্তি। আর এজন্য ১৮ নং কলাম অনুযায়ী পরী বিবাহ বন্ধন ছিন্ন করতে চান।
চলতি বছরের শুরুতে স্বামী তাকে মারধর করেন বলে অভিযোগ দেন পরীমণি। সে সময় ফেসবুকে এই অভিনেত্রী একটি পোস্ট দেন, সেখানে তিনি তার রক্তাক্ত বিছানার ছবিও পোস্ট করেন। তখন স্পষ্টতই জানান যে, এভাবে তিনি আর রাজের সঙ্গে থাকতে চাইছেন না। এরপর বেশ কয়েক দফায় অভিমান ভুলে এক হলেও বেশকিছু দিন ধরে তাদের সম্পর্ক ভালো যাচ্ছিল না।