বিশ্বকাপের কিছুদিন আগে হুট করে অবসর ঘোষণা করেছিলেন তামিম ইকবাল। প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে অবসর ভেঙে ফিরলেও বিশ্বকাপে খেলা হয়নি তার। ইনজুরি নিয়ে ধোঁয়াশা, বোর্ডের সঙ্গে আলোচনা থেকে ভুল বোঝাবুঝি এসব কারণে বিশ্বকাপে দলে ছিলেন না তামিম।
বিশ্বকাপের পরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়া না নেওয়া নিয়ে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের সঙ্গে বসতে চেয়েছিলেন তামিম। তখন বিসিবি সভাপতি তামিমকে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের ব্যস্ততার কথা বলেছিলেন। বিপিএল খেলার পরে বসে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন।
ওই বিপিএল ফাইনাল শুক্রবার শেষ হয়েছে। জাতীয় দলের বাইরে থাকা তামিম ইকবাল ব্যাট হাতে এবং নেতৃত্বে অসাধারণ ভূমিকা রেখেছেন। তার দল ফরচুন বরিশালকে চ্যাম্পিয়ন করতে আসরের সর্বোচ্চ ৪৯২ রান করেছেন, টুর্নামেন্ট সেরাও হয়েছেন।
ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে অবসর প্রসঙ্গ আসলে তামিম জানান, তার জাতীয় দলে ফিরতে অনেক কিছু এখন ঠিকঠাক যেতে হবে। তবে আরও দুই বছর খেলতে পারবেন এই মন্তব্য করে বুঝিয়ে দিয়েছেন, জাতীয় দলে ফেরার ইচ্ছে ষোলো আনাই আছে তার।
তামিম বলেছেন, ‘আমি একটা বিষয় ক্লিয়ার করতে চাই, আমার জন্য (জাতীয় দলে) ফিরতে হলে অনেক কিছু ঠিকঠাক যেতে হবে। তাছাড়া দলে ফিরে শুধু শুধু খেলার কোন মানে হয় না। ক্যারিয়ারে আমি এমন একটা পর্যায়ে আছি, হয়তো সর্বোচ্চ দু’বছর খেলতে পারবো। এসব বিষয়ে উনাদের (বিসিবি সভাপতি, কোচ-নির্বাচক) সঙ্গে বসতে হবে। এখনও যেহেতু ফাইনাল কথা হয়নি, প্রেস কনফারেন্সে কথা বলা উচিত হবে না।’
বিশ্বকাপের পরে বাংলাদেশ ক্রিকেটে বেশ কিছু পরিবর্তন এসেছে। তিন ফরম্যাটে অধিনায়ক করা হয়েছে নাজমুল শান্তকে। নির্বাচক প্যানেল বদলে গেছে। দলে যোগ দিয়েছেন নতুন ব্যাটিং ও বোলিং কোচ। প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপুর সঙ্গে তার এখনও কথা হয়নি বলেও জানিয়েছেন তামিম। তবে বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্সের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুসের সঙ্গে যোগাযোগ আছে তার। তামিম জানিয়েছেন, দেশের বাইরে যাচ্ছেন, এসে বিসিবি কর্মকর্তা ও টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গ বসে বিষয়টি নিয়ে আলাপ করবেন।