মসজিদে অপরিকল্পিতভাবে এয়ারকন্ডিশনার বসানো হলে দুর্ঘটনার ঝুঁকি যে বাড়বে, সে কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ওইটুকু জায়গায় ৬টা এসি লাগানো!
রোববার জাতীয় সংসদে উত্থাপিত শোকপ্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, সারাদেশের মসজিদগুলোতে অপরিকল্পিতভাবে এসি লাগাচ্ছে বা যেখানে সেখানে মসজিদ গড়ে তুলছেন, সেখানে আদৌ মসজিদ করার জায়গা কিনা বা যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নেয়া বা সেখানে নকশা করা হয়েছে কিনা; সেগুলো দেখা একান্ত প্রয়োজন।
শেখ হাসিনা বলেন, গ্যাসের লাইনের ওপরে নাকি এই মসজিদটি নির্মাণ করা হয়েছিল…সাধারণত যেখানে গ্যাসের পাইপ লাইন থাকে সেখানে কোনো নির্মাণ কাজ হয় না। আমি জানি না, রাজউক এটার পারমিশন দিয়েছে কি-না। এর পারমিশন তো দিতে পারে না, দেওয়া উচিত না।’
সংসদে আলোচনায় শেখ হাসিনা বলেন, মসজিদে এখন সবাই দান করে। আজকাল তো সবার পয়সাও আছে। এয়ারকন্ডিশনার দিয়ে যাচ্ছে। সেখানে বিদ্যুত সরবরাহটা বা বিদ্যুৎ লাইন কতটা নিতে পারবে সেই ক্যাপাসিটি ছিল কিনা… সার্কিট ব্রেকার ছিল কিনা বা এইসব বিষয়গুলো কিন্তু দেখতে হবে। অপরিকল্পিতভাবে কিছু করতে গেলে দুর্ঘটনা অবশ্যই ঘটতে পারে।
মসজিদে বিস্ফোরণের ওই ঘটনা কেন ঘটেছে, তা খুঁজে বের করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সারা বাংলাদেশেই মসজিদগুলোতে যারা অপরিকল্পিতভাবে ইচ্ছেমত… মানে এয়ারকন্ডিশনার লাগাচ্ছেন, বা যেখানে সেখানে একটা মসজিদ গড়ে তুলছেন, সে জায়গাটা আদৌ একটা স্থাপনা করবার মত কিনা, বা যথযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নেওয়া বা সেভাবে নকশাগুলো করা হয়েছে কিনা- সে বিষয়গুলো কিন্তু দেখা একান্ত প্রয়োজন। নইলে এ ধরনের দুর্ঘটনা যে কোনো সময় ঘটতে পারে।