নির্বাচন কমিশনের (ইসি) মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন স্মার্ট ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট বিডি ও অনলাইন নমিনেশন সাবমিশন সিস্টেম (ওএনএসএস) উদ্ধোধন করা হয়ছে।
রবিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে উদ্বোধন করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সিইসি বলেছেন, ‘নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিল করতে গিয়ে অনেকে বাধাগ্রস্ত হন। আবার দাখিলের পর প্রত্যাহারের জন্য চাপ দেওয়া হয়।
অনলাইনে মনোনয়ন দাখিল অনাচার কমাতে সহায়ক হবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘ওএনএসএস সামগ্রিক নির্বাচন ব্যবস্থাটা আরো নির্ভরযোগ্য, সহজ ও পরিশুদ্ধ হতে সহায়তা করবে। এই পদ্ধতিকে আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি কারণ, নির্বাচন করতে গিয়ে শোডাউন একটা সংস্কৃতিতে পরিণত হয়েছে। কিন্তু এই সংস্কৃতি সংকট হয়ে যায়, নির্বাচনি আচরণ বিধিমালা ভঙ্গ হতে পারে।
স্মার্ট ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট বিডি অ্যাপ সম্পর্কে সিইসি বলেন, ‘সব নাগরিকের হাতে যে স্মার্ট ফোনটি আছে সেখানে এই অ্যাপ ব্যবহার করা যাবে। আমাদের অ্যাপ তথ্য সরবহারকে খুব সহজ ও দ্রুত করে দিবে, যা স্বচ্ছতা নিশ্চিতে সহায়ক হবে। দুই ঘণ্টা পর নির্বাচনের তথ্য সরবরাহ করা হবে এই অ্যাপে।
হঠাৎ করে কোনো কিছু হয়ে গেলে তা বিশ্লেষণের সুযোগ থাকবে। যারা নির্বাচন বিশ্লেষণ করে থাকেন তাদের জন্য এসব তথ্য নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিশ্চিতে সহায়ক হবে। কাজেই আমাদের একটু কষ্ট করে অ্যাপটা ব্যবহার করা শিখে নিতে হবে।’
অনলাইন নমিনেশন সাবমিশনের বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘আমরা বেশ কয়টি উপনির্বাচনে অনলাইনের মাধ্যমে মনোনয়ন গ্রহণ করেছি। এটি জটিল কিছুই না, এর মাধ্যমে মনোনয়ন জমা সহজ হয়ে যাবে।
এসব প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। ভারতে এ পদ্ধতি আছে, আমরা তাদের দেখে উদ্ধুদ্ধ হয়েছি। আমাদেরটা আরো বেশি আধুনিক হবে।’
অনলাইন ভোটিংয়ের বিষয়ে উপস্থিত রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধির প্রশ্নের জবাবে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘ঘরে বসে ভোট দেওয়ার পদ্ধতি কোথাও হয়েছে এমন নজির নেই। ভারতের নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সাক্ষাত হয়েছিল। ঘরে বসে মোবাইলের মাধ্যমে ভোট দেওয়ার পদ্ধতি প্রণয়নে তারা চেষ্টা করছে বলে আমাদের জনিয়েছেন। আমার বিশ্বাস তারা হয়ত সেটা (অনলাইন ভোটিং) বাস্তবায়ন করতে পারবে। তখন হয়ত আমরা সেটা ভেবে দেখব।’
অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আনিছুর রহমান বলেন, ‘এই কমিশন দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই সবকিছু স্বচ্ছভাবে করে আসছে। স্মার্ট অ্যাপ অধিকতর জবাবদিহিতা এবং স্বচ্ছতার টুল হিসেবে ব্যবহার হবে। ফলে নির্বাচন কমিশন অধিকতর স্বচ্ছ ও জবাবদিহিতার মুখোমুখি হবে। পাশাপাশি স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণেও নির্বাচন কমিশন এগিয়ে গেল।
ইসি আলমগীর বলেন, ‘নির্বাচনে প্রার্থীর তথ্য নিয়ে অপপ্রচার হয়। তবে ভবিষ্যতে কোনো ভোটার যখন প্রার্থী সম্পর্কে জানতে চাইবে তখন কিন্তু তারা ‘স্মার্ট ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট’ অ্যাপে সব দেখতে পারবেন। এই অ্যাপে প্রার্থীর সব তথ্য-প্রমাণ থাকবে। অর্থাৎ অপপ্রচারগুলো যাচাই করে নেওয়া যাবে। সেই সঙ্গে নির্বাচনে ভোটের বিষয় নিয়ে মানুষের মাঝে দ্বন্দ্ব থাকে, সেটাও এটা দূর হবে।’