অধ্যাপক অজয় রায় (৮৪) আর নেই। আজ সোমবার দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।অজয় রায় দীর্ঘদিন বার্ধক্যজনিত নানা অসুখে ভুগছিলেন।
অধ্যাপক অজয় রায়ের ছেলে ব্লগার-লেখক অভিজিৎ রায় ২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির উল্টো পাশে জঙ্গিদের হামলায় নিহত হন।
ড. অজয় রায় ১৯৩৫ সালের ১ মার্চ দিনাজপুরে জন্মগ্রহণ করেন। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ এবং যুদ্ধোত্তর বাংলাদেশের প্রায় সব গণতান্ত্রিক ও নাগরিক আন্দোলনের সামনের কাতারের মানুষ।অধ্যাপক মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছেন এবং দীর্ঘদিন ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি প্রতিষ্ঠা করে লড়াই করেছেন যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে। কিন্তু ছেলে অভিজিৎ রায় হত্যার বিচার দেখে যেতে পারলেন না তিনি।
স্কুল ও কলেজজীবনে অজয় রায় পড়াশোনা করেছেন দিনাজপুরে। ১৯৫৭ সালে এমএসসি পাস করে যোগ দেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে। তিনি ১৯৫৯ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যা বিভাগে শিক্ষকতা করেছেন। তিনি ১৯৬৬ সালে ইংল্যান্ডের লিডস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৬৭ সালে সেখানেই করেন পোস্ট ডক্টরেট। ১৯৬৭ সালে শিক্ষক হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পুনরায় যোগদান করেন এবং অবসর নেওয়ার আগপর্যন্ত সেখানেই কর্মরত ছিলেন।
দেশি–বিদেশি বহু জার্নালে অজয় রায়ের পেপার প্রকাশিত হয়েছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর তিনি বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটির জেনারেল সেক্রেটারি পদে ছিলেন। তিনি সম্প্রীতি মঞ্চের সভাপতি, বাংলাদেশ ইতিহাস পরিষদের ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং এশিয়াটিক সোসাইটির বিজ্ঞান বিভাগের সম্পাদক।
২০১২ সালে পদার্থবিজ্ঞানে একুশে পদক অর্জন করেন অজয় রায়।