টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের জাহাজপুরা পার্শ্ববর্তী পাহাড়ের ছড়ার খালে মাছ ধরতে গিয়ে কক্সবাজার সরকারি কলেজের এক শিক্ষার্থীসহ আট বাংলাদেশিকে অপহরণ করেছে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা।
বুধবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত কাউকে উদ্ধার করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। অপহরণকারী ও অপহৃতের পরিবারের লোকজনের সঙ্গে সকাল থেকে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় উৎকণ্ঠা ও শঙ্কা বিরাজ করছে বলে জানায় তারা।
অপহৃত তরুণরা হলেন, জাহাজপুরা এলাকার রশিদ আহমেদের ছেলে আবছার উদ্দিন, ছৈয়দ আমিরের ছেলে নুরুল মোস্তাফা, করিম উল্লাহ নুর মোহাম্মদ, মোহাম্মদ উল্লাহ, সেলিম উল্লাহ, রিদুওয়ান ও নুরুল হক।
গত রোববার বিকেল ৪টার দিকে বাহার ছড়া ইউনিয়নের জাহাজপুরা এলাকার পাহাড়ি ছড়ায় মাছ ধরতে যান তারা। সেখান থেকে অপহরণের শিকার হন তারা। তখন থেকে মুক্তিপণ না দিলে প্রাণে মেরে ফেলা হবে বলেও হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন অপহৃতের পরিবারের লোকজন।
অপহৃত করিম উল্লাহ ও নুরুল মোস্তফার বড় ভাই মো. আলী জানান, অপহরণকারীরা প্রথমে জনপ্রতি তিন লাখের বেশি মুক্তিপণ দাবি করে আসছিল। সর্বশেষ সকালে ওই দুই অপহৃতের মুক্তি দিতে ৫০ হাজার টাকা করে মুক্তিপণ দাবি করে। বহুকষ্টে টাকা জোগাড় করা হয়েছে, কিন্তু তারা আর যোগাযোগ করছে না। এতে তারা ভীষণ ভয়ে আছে বলে জানান।
স্থানীয়রা জানান, অপহৃতের মধ্যে একজন কলেজ পড়ুয়া। অনেকে কৃষিকাজ করে ও কয়েকজন বিদেশে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। বাহারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন খোকন জানান, আটজনকে অপহরণ করেছে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা। এখনও তাদের কাউকে উদ্ধার করতে পারেনি আইন শৃঙ্খলাবাহিনী।
পাহাড়ি এলাকা হওয়ায় এর আগেও বিভিন্ন সময় অনেকে অপহরণের শিকার হয়েছে এবং মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে উদ্ধারে জোর দাবি জানান তিনি।
টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আবদুল হালিম জানান, অপহরণের পর থেকে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকেও পাহাড়ে অভিযান করা হয়েছে।