The news is by your side.

৩৫ বছর বিচ্ছেদের পর এক ছাদের নিচে কারিনার মা-বাবা

0 88

ফের কাছাকাছি এলেন কারিনা ও করিশ্মা কাপুরের মা ও বাবা  ববিতা ও রণধীর কাপুর । ৮০ -র দশকের মাঝামাঝি থেকে আলাদা থাকছেন তারা।

তবে এখন বদলেছে পরিস্থিতি। সম্প্রতি রণধীরের বান্দ্রার নতুন বাড়িতে ব্যাগপত্র গুছিয়ে থাকতে চলে গেছেন ববিতা। খবর টাইমস অফ ইন্ডিয়া ও হিন্দুস্থান টাইমসের।

আর এই গোটা ঘটনায় খুশি তাদের দুই মেয়ে। অন্তত শেষ বয়সে এসে একে-অপরের খেয়াল তো রাখতে পারবেন।

বিয়ের ১৭ বছরের মাথায় দুই মেয়ে করিনা আর করিশ্মাকে নিয়ে স্বামীর বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন ববিতা। চেম্বুরের আরকে বাংলো ছেড়ে থাকতে শুরু করেন লোখন্ডওয়ালার একটি ভাড়া বাড়িতে।

তারপর কেটে গিয়েছে দীর্ঘ ৩৫ বছর। একে-অপরের সঙ্গে ডিভোর্স নেননি কেউই। রণধীরের যে কোনও সমস্যায় পাশেও থেকেছেন ববিতা।

কাপুরদের বাড়ির বউ হিসেবে সব দায়িত্বও পালন করেছেন। তবে একসঙ্গে থাকেননি এতদিন।

বান্দ্রার বাড়িতে গত সাত মাস ধরেই একসঙ্গে থাকছেন ববিতা-রণধীর। আর মা-বাবার এই সিদ্ধান্তে খুশি কারিনা আর করিশ্মাও।

মাঝে ২০০৮ সাল নাগাদও শোনা গিয়েছিল বলিউডের এই দুই কিংবদন্তি জুটি একসঙ্গে থাকবেন। পরে রণধীর নিজেই জানান, আপাতত এরকম হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই।

এর আগে এক সাক্ষাৎকারে রণধীর জানিয়েছিলেন, কী নিয়ে মূলত সমস্যা হয়েছিল তাদের মধ্যে। সেই সময় কারিনার বাবাকে বলতে শোনা যায়, ‘ওর কাছে আমি একজন ভয়ানক মানুষ ছিলাম। যে রোজ মদ খায়। দেরি করে বাড়ি আসে। আর এসব ওর একেবারেই পছন্দ ছিল না। আমি ওর মতো করে থাকতে চাইনি, আর আমি যেমন ও সেটা মেনেও নিতে পারেনি।

ভালোবেসে বিয়ে করা সত্ত্বেও তাই আমরা আলাদা হয়ে যাই। দুই মেয়েকে ও খুব সুন্দর করে মানুষ করেছে। ওরা ক্যারিয়ারেও সফল। একজন বাবা হিসেবে আমি এর চেয়ে বেশি আর কী বা চাইতে পারি!

১৯৬৯ সালে বাবা রাজ কাপুরের সঙ্গে সঙ্গমের সেটে গিয়েছিলেন রণধীর, যেখানে তিনি প্রথমবারের মতো ববিতাকে দেখেছিলেন।

সেই সময়ই ভালোলাগা তারপর প্রেম। তবে সবটাই চলছিল লুকিয়ে। এরপর ধরে ফেলেন রাজ কাপুর।

রণধীর কপিল শর্মা শো-তে বলেছিলেন, টাইম পাস করছিলাম আমি, বিয়ে করার কোনও পরিকল্পনাই ছিল না। তবে কিছুটা পরিবারের চাপেই দুজনে বসেন পিঁড়িতে। ১৯৭১ সালের তাদের ছবি ‘কাল আজ অর কাল’ মুক্তির পরপরই বিয়ে করেন।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

80%
Awesome
  • Design

Leave A Reply

Your email address will not be published.