The news is by your side.

স্বাভাবিক হচ্ছে নয়াপল্টন এলাকা

0 125

বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের চার দিন পর আজ রবিবার (১১ ডিসেম্বর) স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে নয়াপল্টনসহ আশপাশের এলাকা। সকালেই খুলতে দেখা গেছে অফিস আদালতসহ দোকানপাট। এই এলাকায় আইনশৃঙ্খলায় নিয়োজিত অতিরিক্ত পুলিশ সদস্যদেরও পর্যাক্রমে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। তবে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত বিএনপিসহ অঙ্গ সংগঠনের কোনও নেতাকর্মীকে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের আশপাশে দেখা যায়নি। সকাল থেকে নয়াপল্টনসহ আশপাশের এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

সকাল থেকে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের প্রধান গেটে একজন সিকিউরিটি গার্ড ও একজন অফিস স্টাফকে ডিউটি করতে দেখা গেছে। তারা গেটে তালা দিয়ে ভেতরে বসে আছেন। কার্যালয়ের মধ্যে থেকে কয়েকজনকে ব্যাগ বের করে দিতেও দেখা গেছে তাদের।

নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের পর ফকিরাপুল মোড় থেকে কাকরাইল নাইটেঙ্গেল মোড়ে ব্যারিকেট দিয়ে সাধারণ মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয়। এছাড়া নয়াপল্টনের আশপাশের এলাকায় গলিও বন্ধ করে দেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। আজ সকাল থেকে সব রাস্তা ও গলি থেকে পুলিশের ব্যারিগেট সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তবে রাস্তার মোড় ও গলির মুখে মুখে পুলিশ সদস্যদের ডিউটি করতে দেখা গেছে।

কার্যালয়ের গেটে দায়িত্বরত একজন বলেন, এখন পর্যন্ত কোনও নেতাকর্মী কার্যালয়ে আসেনি। তবে দুপুরের পরে নেতাদের আসার কথা রয়েছে।

বিএনপি কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সদস্য মোহাম্মদ সালাউদ্দিন খান বলেন, ‘আমি এখানে সকাল সাড়ে ১০টায় এসেছি। এছাড়া অফিস স্টাফরাও সবাই আসছে। আমরা এখন নেতাদের আসার জন্য অপেক্ষা করছি। নেতারা আসলে সাংবাদিকদের সঙ্গে নিয়ে কার্যালয়ে প্রবেশ করবো।’

তিনি বলেন, ‘৭ ডিসেম্বর সংঘর্ষের পর পুলিশ কার্যালয়ের তালা দিয়ে চাবি নিয়ে নেয়। কিন্তু পরে আমাদের চাবি হস্তান্তর করেনি প্রশাসন।’

প্রশাসন থেকে কোনও বাধা নেই, বিএনপি নেতারা কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এসে তাদের কার্যক্রম চালাতে পারে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) হায়াতুল ইসলাম খান।

জন সাধারণের নিরাপত্তার স্বার্থে এবং ঢাকা মহানগরীর বিশেষ করে মতিঝিলের শৃঙ্খলার স্বার্থে কিছু চেক পোস্ট বসানো হয়েছিল। সেগুলো ইতোমধ্যে অপসারণ করা হয়েছে। এছাড়া নয়াপল্টনের সামনে দিয়ে আজকে সম্পূর্ণভাবে খুলে দেওয়া হয়েছে।

 

 

 

 

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.