২০২০ সালের জুন মাসে মৃত্যু হয়েছে সুশান্ত সিং রাজপুতের। কিন্তু তাঁর মৃত্যুর ঘটনা এখনও দগদগে ঘায়ের মতোই রয়ে গিয়েছে বিনোদন জগতের গায়ে এবং অনুরাগীদের মনে। তাঁর মৃত্যুর কারণ কী?
তিনি কি আত্মহত্যা করেছেন, নাকি তাঁকে হত্যা করা হয়েছে— এসব প্রশ্নর সবগুলির উত্তর এখনও পাওয়া যায়নি। এরই মধ্যে বড় খবর এসে গেল।
ময়নাতদন্তের সময়ে উপস্থিত থাকা এক ব্যক্তি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, সুশান্ত আত্মহত্যা করেননি। তাঁকে হত্যা করা হয়েছিল। মৃতদেহ দেখেই নাকি তিনি টের পেয়েছিলেন।
এই ব্যক্তির নাম রূপকুমার শাহ। সুশান্তের মৃ;ত্যু;র পরে দেহের ময়;নাত;দ;ন্তের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, ‘ওই দিন পাঁচটি মৃতদেহ ময়না তন্তে;র জন্য আনা হয়। আমরা শুনেছিলাম, তার মধ্যে একটি নামজাদা কারও। আমরা ময়না তদন্ত করতে গিয়ে জানতে পারি, সেটি সুশান্তের দেহ। ওঁর সারা গায়ে বেশ কিছু চিহ্ন ছিল। আর গলা-ঘাড়ের কাছেও তিনটি দাগ ছিল। মৃত দেহের ময়না তদন্তের ভিডিয়ো রেকর্ড হওয়ার কথা। কিন্তু উচ্চপদস্থরা বলেন, শুধু স্টিল ছবিই তোলা হবে। আমরা সেভাবেই কাজটি করি।’
রূপকুমার আরও জানায়, ‘আমি যখন প্রথম সুশান্তের মৃ;ত;দে;হ দেখি, আমার মনে হয়, এটি মোটেই আত্মহত্যা নয়, ওঁকে খুন করা হয়েছে। আমি সে কথা, আমার উচ্চপদস্থকে জানাইও। তারপরে ঊর্ধ্বতন আমায় বলেন, দ্রুত ছবি তুলে কাজ সেরে মৃতদেহ পুলিশকে দিয়ে দিতে। আর তাই শুধুমাত্র রাতেই আমরা ময়না তদন্ত করতে পেরেছিলাম।’
২০২০ সালের ১৪ জুন সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু হয়। এর পর থেকেই তাঁর মৃত্যু নিয়ে নানা ধরনের ধোঁয়াশা রয়েছে। যদিও রিপোর্টে এটিকে আত্মহ;ত্যা বলা হলেও সুশান্ত সিং রাজপুতের পরিবারের তরফে সে কথা মেনে নেওয়া হয়নি। বরং তাঁদের তরফে বার বার আঙুল তোলা হয়েছে মহারাষ্ট্রের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন মানুষের দিকে।
বলা হয়েছে, রাজনৈতিক ভাবে সুশান্তের মৃত্যুর তদন্তকে প্রভাবিত করার চেষ্টা হয়েছে। এবং ক্ষমতাশালী লোকেরাই তাঁর মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে ঢাকার চেষ্টা করেছেন।
সম্প্রতি সুশান্ত সিংয়ের বাবা এক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, সুশান্তের মৃত্যু; নিয়ে রাজনৈতিক জলঘোলা হয়েছে মহারাষ্ট্রে। আর সেই কারণেই সুশান্তের মৃত্যুকে মোটেই আত্মহত্যা বলে মেনে নিতে নারাজ তাঁরা। এমনকী তাঁদের তরফে আঙুল তোলা হয়েছে রিয়া চক্রবর্তীর দিকেও।