The news is by your side.

সব ধরনের সঞ্চয়পত্রে প্রতি মাসে মুনাফা দেওয়ার প্রস্তাব

0 155

বর্তমানে দেশে সঞ্চয়পত্র চালু আছে চার ধরনের। এর মধ্যে শুধু ‘পরিবার’ সঞ্চয়পত্রের মুনাফা দেওয়া হয় প্রতি মাস অন্তর। বাকি তিনটি সঞ্চয়পত্রের মুনাফা দেওয়া হয় প্রতি তিন মাস অন্তর।

তিন মাস অন্তর যেসব সঞ্চয়পত্রের মুনাফা দেওয়া হচ্ছে, (তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র, পেনশন সঞ্চয়পত্র, পাঁচ বছর মেয়াদি সঞ্চয়পত্র এবং পরিবার সঞ্চয়পত্র) সেগুলো প্রতিমাসে দেওয়ার জন্য প্রস্তাব করে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগে পাঠিয়েছে জাতীয় সঞ্চয়পত্র অধিদপ্তর।

সঞ্চয়পত্র অধিদপ্তরের পাঠানো ওই প্রস্তাবে বহুল প্রচলিত ‘পেনশন সঞ্চয়পত্র’ ক্রয়সীমা ৫০ লাখ থেকে বাড়িয়ে এক কোটি টাকা করার কথাও বলা হয়েছে।

এছাড়া ‘পরিবার সঞ্চয়পত্রে’ পুরুষ ক্রেতার বয়সসীমা ৬৫ থেকে ৫০ বছরে নামিয়ে আনার কথাও বলা হয়েছে। এতে বেশি সংখ্যক পুরুষ পরিবার সঞ্চয়পত্র কেনার আওতায় আসতে পারবেন।

অপরদিকে ‘বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রে’ যাতে বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠান বিনিয়োগ করতে পারে, এ লক্ষ্যে বিদ্যমান ক্ষেত্রগুলো পুনর্বিন্যাস করা হচ্ছে।

জাতীয় সঞ্চয়পত্র অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক মো. শাহ আলম গণমাধ্যমকে বলেন, পেনশন সঞ্চয়পত্র কেনার সিলিং এবং পরিবার সঞ্চয়পত্র কেনার (পুরুষ ক্রেতা) বয়স কমানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এখন মন্ত্রণালয় এবং সরকার সিদ্ধান্ত নেবে। সেখান থেকে অনুমোদন করলে তা কার্যকর হবে।

তিনি আরও বলেন, তিন মাস অন্তর যেসব সঞ্চয়পত্রের মুনাফা দেওয়া হচ্ছে, সেগুলো প্রতিমাসে দেওয়ার জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে।

বর্তমানে পরিবার সঞ্চয়পত্র ১০ হাজার টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকার কেনা যায়। কোন নাগরিকের বয়স ১৮ বা এর বেশি, মহিলা, শারীরিক প্রতিবন্ধী পুরুষ ও মহিলা এবং ৬৫ বছর ও তার বেশি পুরুষ ও মহিলা এটি কিনতে পারেন।

পেনশন সঞ্চয়পত্রের ক্রয়সীমা ৫০ লাখ টাকা ছিল। এখন এটিই কোটি টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

সঞ্চয়পত্র অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান, পেনশন সঞ্চয়পত্র কেনার সিলিং যখন নির্ধারণ করা হয়, ওই সময় সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন-ভাতার অঙ্ক কম ছিল। এরপর ২০০৯ এবং ২০১৫ সালে চাকরিজীবীদের দুটি পে-স্কেল দিয়েছে সরকার।

এখন একজন দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তা অবসরে গেলে আনুতোষিক ৫০ লাখ টাকার ওপরে পাচ্ছেন। এর সঙ্গে ভবিষ্যৎ তহবিল যোগ করলে তা এক কোটি টাকার বেশি হচ্ছে। কিন্তু পেনশন সঞ্চয়পত্র কেনার সিলিং কম থাকায় অবসরে যাওয়া চাকরিজীবীরা পেনশনের পুরো টাকা দিয়ে ইচ্ছা থাকলেও এ সঞ্চয়পত্র কিনতে পারছেন না।

এছাড়া একজন চাকরিজীবী অবসরে গেলে তার বেতন ৬৫ শতাংশ কমে যায়। যিনি ৩০ হাজার টাকা বেতন পেয়েছেন, পেনশনে গেলে পরের মাস থেকে পাবেন ১৩ হাজার ৫০০ টাকা। তার ঘাটতি মেটানোর কোনো সুযোগ থাকে না। অথচ এ সময়ে তার খরচও কমছে না।

উল্লেখ্য, চলতি অর্থবছরে (২০২২-২৩) ৩৫ হাজার কোটি টাকা সঞ্চয়পত্র বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার। আগের অর্থবছরে বিক্রি করা হয় ৩২ হাজার কোটি টাকা।

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.