মঙ্গলবার গুজরাতের আমদাবাদে বৈঠকে বসে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি। লোকসভা ভোটে রণকৌশল ঠিক করতেই দলের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণ কমিটির এই বৈঠক। সনিয়া গাঁধী, রাহুল গাঁধী, মনমোহন সিংহ ছাড়াও দলের শীর্ষ নেতৃত্ব উপস্থিত ছিলেন বৈঠকে
দলে অভিষেক হয়েছে অনেক দিন আগেই। কিন্তু সেই অর্থে জনসভায় ভাষণ দেননি প্রিয়ঙ্কা গাঁধী। আজ মঙ্গলবার সেই জল্পনার অবসান হল। অবশেষে প্রথম রাজনৈতিক বক্তব্যের জন্য মোদীর রাজ্য গুজরাতকেই বেছে নিলেন প্রিয়ঙ্কা। আর প্রথম দিনই কর্মসংস্থান, বেকারত্ব, কৃষক ইস্যু নিয়ে তোপ দাগলেন কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক।
মঙ্গলবার গুজরাতের আমদাবাদে বৈঠকে বসে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি। লোকসভা ভোটে রণকৌশল ঠিক করতেই দলের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণ কমিটির এই বৈঠক। সনিয়া গাঁধী, রাহুল গাঁধী, মনমোহন সিংহ ছাড়াও দলের শীর্ষ নেতৃত্ব উপস্থিত ছিলেন বৈঠকে।
এই বৈঠক শেষেই প্রিয়ঙ্কা মোদী সরকারের বিরুদ্ধে একের পর এক নানা ইস্যুতে আক্রমণ করেন প্রিয়ঙ্কা। পাঁচ বছর আগে ক্ষমতায় আসার সময় মোদী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, কালো টাকা উদ্ধার করে গরিব মানুষের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে। এ ছাড়া প্রতি বছর দু’কোটি বেকারের চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী। প্রিয়ঙ্কা এ দিন প্রশ্ন তোলেন, ‘‘কোথায় গেল সেই ১৫ লক্ষ টাকার প্রতিশ্রুতি। কেনই বা পাঁচ বছরেও চাকরির প্রতিশ্রুতি পূরণ হল না?’
মোদী জমানার পাঁচ বছরে কৃষকদের অবস্থা আরও খারাপ হয়েছে। ফসলের দাম পাচ্ছে না। এই অভিযোগ দীর্ঘদিনের। এই ইস্যুতে এদিন মোদী সরকারকে আক্রমণের পাশাপাশি হিংসা ছড়ানো নিয়েও সুর চড়ান প্রিয়ঙ্কা। তিনি বলেন, ‘‘যেদিকেই তাকান দেখতে পাবেন, গণপিটুনি, হত্যা চলছে। এ এক ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি। এই পরিস্থিতির বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে আপনাদেরই। আর এই যুদ্ধ স্বাধীনতা সংগ্রামের চেয়ে কিছু কম নয়। এই দেশ গড়েছেন কৃষক, শ্রমিকরা। আপনারাই পারেন এই দেশকে রক্ষা করতে।’’