দেশের তারকাদের বিদেশে স্থায়ী হওয়া নতুন ঘটনা নয়। কিন্তু শাকিব খানের মতো ঢালিউডের শীর্ষ মহাতারকা যদি আমেরিকার গ্রিন কার্ড নিয়ে দেশ ছাড়েন, তবে সেটা বাংলাদেশের বিনোদন জগতের ওপর অনেক বড় ধাক্কার সামিল হবে। বিভিন্ন সূত্রের খবর, শাকিব খান সত্যিই আমেরিকার গ্রিন কার্ড পেয়ে গেছেন।
শোনা যাচ্ছে, গত বছরেই যুক্তরাষ্ট্রের ইবি ক্যাটাগরির ভিসার জন্য আবেদন করেছিলেন ঢালিউডের ‘কিং খান’।
আমেরিকান ভিসার ইবি ক্যাটাগরি হলো- যারা মেধাবী ও দক্ষ পেশাজীবী, শিল্পী, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, শিক্ষক, গবেষক ইত্যাদি যে কোনো যোগ্যতা রাখেন, তারা এই বিশেষ যোগ্যতায় আমেরিকার গ্রিন কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারেন। আর যাদের কাজের স্বীকৃতি আছে, তাদের জন্য এটা পাওয়া আরও সুবিধাজনক। এর মাধ্যমে আমেরিকার মেধাসম্পদ বৃদ্ধি পায়।
একজন দক্ষ ও স্বীকৃত অভিনয়শিল্পী হিসেবেই নাকি শাকিব খান এই ভিসার জন্য আবেদন করেছিলেন। আর তা গৃহীত হয়েছে গেল ডিসেম্বর মাসেই। এফডিসি পাড়ায় এখন এমন গুঞ্জনই চলছে। দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমও জানাচ্ছে এমন খবর।
আমেরিকায় শাকিবের স্থায়ী হওয়া নিয়ে ইন্ডাস্ট্রিতে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। বর্তমানে শাকিব খানের ছবি মোটামুটি ব্যবসা করছে। এমন সময় নায়কের এই সিদ্ধান্ত ইন্ডাস্ট্রির জন্য বড় ধাক্কা বলে মত দিয়েছেন অনেকেই। কেউ কেউ মনে করেছেন হয়তো কোনও হতাশা থেকে শাকিব এমন সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। তবে তাদের আশা শাকিব গ্রিন কার্ড পেলেও সিনেমা হয়তো ছাড়বেন না।
ইতোপূর্বে বাংলাদেশের আরও অনেক অভিনয়শিল্পীই বিদেশে স্থায়ীভাবে পাড়ি জমিয়েছেন। এদের মধ্যে রয়েছেন, রিচি সোলায়মান, মোনালিসা, টনি ও প্রিয়া ডায়েস, সোনিয়া, দিলরুবা রুহি, তমালিকা কর্মকার, শ্রাবন্তী, শামীম শাহেদসহ আরও অনেকে। তুমুল জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা শাবনূরও অনেক বছর ধরে অস্ট্রেলিয়ায় থাকছেন। এবার এই তালিকায় ‘কিং খান’ যুক্ত হচ্ছেন কিনা তা সময়ই বলে দেবে।